বর্ডার ক্রস করলেই হয় যৌথ প্রযোজনা !

বাংলা ছবির বাণিজ্যিক বাজার এখন পড়ন্ত, এই আছে তো এই নেই। গত কয়েক বছরে হাতে গোনা কয়েকটি ছবি ছাড়া সবই সুপার ফ্লপ। যদিও দু’পারের ছবির পরিচালকেরা ছবির বাণিজ্যিক বাজার ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার ছবি তৈরি হলে কমবে ছবির বাজার আর বাড়বে ছবির আয়, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে দেশীয় একটি ছবি বর্ডার ক্রস করে কলকাতায় গিয়ে হয়ে যায় যৌথ প্রযোজনার ছবি।
আজকে এই যৌথ প্রযোজনা নিয়ে প্রতিবেদেন।
চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে যুক্ত কিছু বিশিষ্ট মানুষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ মুক্তি প্রাপ্ত যৌথ প্রয়োজনার ছবি হচ্ছে মনের মানুষ, আমি শুধু চেয়েছি তোমায়, রোমিও vs জুলিয়েট এবং অগ্নি। এদিকে নির্মানাধীন রয়েছে আরো বেশ কিছু ছবি। ছবির নাম তালিকাভুক্ত থেকে শুরু করে ছবির নির্মান, সেন্সর সহ কোথায় কোন যৌথ প্রযোজনার নাম উল্লেখ নেই বা থাকে না।
বাংলাচলচ্চিত্রের খ্যাতিমান খলনায়ক মিজু আহমেদ বলেন, “যৌথ প্রযোজনার নামে অদ্ভুত একটি নিয়ম বানিয়েছে। এই কারণেও সিনেমা এখন ধংসের পথে। এখন তো কোন ছবি হচ্ছে না। এখন যে ছবি গুলো হচ্ছে তা সকালে উঠে আর বিকেলে নেমে যায়। এই কারণে দর্শকরা সিনেমা হল মুখি হচ্ছে না। সঠিক নিয়মে যৌথ প্রযোজনার ছবি বানাতে পারলে আপনারা বানান না হলে কোন প্রয়োজন নাই। ”
বরাবরই কলকাতার নায়ক বাংলাদেশের বাজারে রয়েছে। আর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তৈরি করা হচ্ছে এই সব ছবি। প্রতি মাসেই কলকাতার প্রযোজকরা আসছেন বাংলাদেশে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মান নিয়ে কথা বলতে। আবার এই খবর গুলো হরহামেসাই ফেইসবুক বা অনলাইন পত্র পত্রিকায় নিউজ হয়ে যায়।
সর্বশেষ মুক্তি প্রাপ্ত যৌথ প্রযোজনার ছবি অঙ্কুস ও নুসরাত ফারিয়া অভিনিত ‘আশিকি’ ১৮ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মুক্তি পায়। এ ছবি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে অশোক পতির পরিচালনায় কলকাতার এই ছবি প্রথম থেকেই বির্তকিত ছিলো।
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান বলেন, “বর্তমানে নিয়ম ছাড়াই তৈরি হচ্ছে যৌথ প্রযোজনার ছবি। ওপার থেকে প্রতি নিয়ত আমাদের কাছে যোগাযোগ করছে ছবি তৈরির জন্য। তবে যদি সকল নিয়মনীতি মেনে সিনেমা তৈরি হয় অবশ্যই ভালো হবে বলে আমি আশা করি। ”
বাংলা চলচ্চিত্রের আরেক খ্যাতিমান খলনায়ক মিশা সওদাগর যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নিয়ে বলেন, “ওপার বাংলার ছবি চলেনা। দেবের ওপার বাংলার ২৫ কোটি টাকার ছবি চলেনি। সো ওদের ছবি চলেনা। দেব এখন রাজনীতি করছে। তাদের ছবি এখন আর চলেনা। এখন তারা আমাদের লেজ ধরেছে। তাদের থেকে আমাদের দর্শকপ্রিয়তা বেশি।”
এসব ছবিতে আন-অফিসিয়াল চুক্তিতে বাংলাদেশের প্রযোজক লাইন প্রযোজন হিসেবে কাজ করেন। আর এই ভাবেই চলে যৌথ প্রযোজনার খেলা। এই কারণে দেশীয় ছবির প্রযোজনায় আগ্রহ দেখান না অনেকে। বিশিষ্ট মানুষেরা মনে করেন, দুই দেশের নিয়ম মেনে ছবি তৈরি করলে হয়তো সফলতার মুখ দেখবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘বাজি’ দিয়ে ফিরলো কোক স্টুডিও বাংলা
“বাজি” গান দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময়ের বিরতি কাটিয়ে অবশেষেবিস্তারিত পড়ুন

বর্ষার পর এবার সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত অনন্ত জলিলের, কারণ জানালেন নিজেই
ব্যবসায়ী থেকে একসময় সিনেমায় অভিনয় করা শুরু করেন অনন্ত জলিল।বিস্তারিত পড়ুন

শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে থানায় এজাহার
প্রতারণার অভিযোগে বলিউড কিং শাহরুখ খান ও অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনেরবিস্তারিত পড়ুন