বর্তমান ইসি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘গত দুই দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত ৫০-এর অধিক ব্যক্তি নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন।’ তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের উচ্চ পদস্থ পদাধিকারীরা কমিশনকে দস্যুবৃত্তির আস্তানায় পরিণত করেছে। এরা মানুষের ভোটাধিকারকে লুট করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন জনগণের ম্যান্ডেটহীন সরকারি দলের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের বিজয়ী করে দস্যুদলের সর্দার ভোটারবিহীন সরকারকে তা উপহার দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘ভোট ডাকাতি ও জালভোটর মহোৎসবের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে দস্যুদলের ন্যায় নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করায় রকিব উদ্দিনের কমিশনকে পুরো জাতি ধিক্কার ও ঘৃণা জানাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ এবং নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানীর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিব উদ্দিন ও তাঁর কমিশনারবৃন্দ ইতিহাসে অপরাধী হিসেবেই বিবেচিত হবেন। কারণ প্রাণহানি ঠেকাতে কমিশন কোনো ব্যবস্থা তো গ্রহণ করেইনি বরং উল্টো সরকারি রক্তাক্ত আক্রমণকেই আসকারা দিয়েছে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পুলিশ, বিজিবি, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মিলে প্রথম দুই দফা ভোট ডাকাতির পর আগামী ২৩ এপ্রিল ৬২০টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির প্রার্থী, এজেন্ট ও সমর্থকরা যেন নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না যায় সেজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে গেলে হত্যা ও লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
নির্বাচনে কুমিল্লার পরিস্থিতি তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘কুমিল্লায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারদলীয় ক্যাডারদের তাণ্ডব চলছে। বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর অব্যাহত রয়েছে। কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার ৩ নম্বর কান্দিরপাড় ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী আলহাজ নূর হোসেন হামিরাবাদ গ্রামে তাঁর নির্বাচনী প্রচার চালাতে গেলে সরকারদলীয় ক্যাডাররা নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাগরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একই কায়দায় ইউপি সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমানের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। সরকারদলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী বিরোধী প্রার্থীর প্রচারে তাদের পিটিয়ে আহত করে এবং মাইক ছিনিয়ে নেয়। বিএনপির প্রার্থী মীর হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি।’
এ ছাড়া গাজীপুরের শ্রীপুর, নাটোর, নরনিংদী, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরেন রিজভী।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন