বর্ষবরণে যৌন হয়রানি মামলা: এক আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে
বাংলা বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির মামলায় এক আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু এই আদেশ দেন।
পুরান ঢাকার চকবাজারের বাসিন্দা মো. কামালকে (৩৫)। আজ আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক মো. আবদুর রাজ্জাক।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, কামালকে গত ২৭ জানুয়ারি ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার আগের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কামাল স্বীকার করেছেন, মামলার ঘটনা তদন্তকালে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা ছবির সঙ্গে তাঁর ছবির মিল রয়েছে। তাই ঘটনার সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকা সম্পর্কে এবং অপর আসামিদের খুঁজে বের করার জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত বছর বাংলা বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির মামলায় আট আসামি শনাক্ত করে পুলিশ। আসামিদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে মোট আট লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সেই মামলায় গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করে পুলিশ। যৌন হয়রানির শিকার কেউ মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করে। ২৩ এপ্রিল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে ডিবি। তদন্তকালে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও সাক্ষীদের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আটজনকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত আট আসামির ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইলেকট্রনিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তার এবং ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা করে মোট আট লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৩ নম্বর ফটক থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ভিড় ছিল। এই ভিড়ের মধ্যে সংঘবদ্ধ একদল নারী লাঞ্ছনাকারী ঘটনাস্থলে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
নারী লাঞ্ছনাকারীরা ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তকালে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ সত্য মর্মে প্রমাণিত হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত আটজনকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় আসামিদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। তবে ভবিষ্যতে কোনো তথ্য উদ্ঘাটিত হলে মামলাটি পুনর্জীবিত করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন