বর্ষবরণে যৌন হয়রানি: ১ আসামী গ্রেফতার ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি নেই
গত বছর বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনাকারীদের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কামাল ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া ৭-৮ জন সন্দেহভাজনের কাউকেই আটক করা যায়নি। তবে সিসিটিভি’র ফুটেজে সন্দেহভাজনদের চেহারার অস্পষ্টতা দূর করতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং ফিল্ম স্টুডিও’র সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বর্ষবরণে যৌন হয়রানি আরও তদন্ত করে আদালতকে অবহিত করার আদেশের পর কয়েকদফা সময় নিয়ে হাইকোর্টের জারী করা রুলের জবাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক পিপিএম।
মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদনে পিবিআই’র এই তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এবছর মার্চের ৩ তারিখে ভিডিও ফুটেজ থেকে সনাক্ত করা আসামী কামালকে ( ৩৫) হাজারীবাগের গণকটুলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সে।
পিবিআই’র ফরেনসিক ল্যাবে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্রাপ্ত ফুটেজগুলো থেকে স্পষ্ট ছবি পাওয়া গেছে কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের দক্ষিণপাশের সিসিটিভি’র ফুটেজ অস্পষ্ট।
এই অস্পষ্টতা দূর করতে বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ডিভিআর এ নারী উত্যক্তকারী কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গেলেও তাদের চেহারা অস্পষ্ট থাকায় ছবিগুলো স্পষ্ট করতে শাহবাগে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং বাণিজ্যিক ফিল্ম স্টুডিও’তে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সামাজিক মাধ্যম থেকেও সন্দেহভাজনদের ছবি সংগ্রহের চেষ্টা করা হয় বলে জানান তিনি।
সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং জবানবন্দি নিলেও এখন পর্যন্ত মামলার ভিকটিমদের কোনো সন্ধান পায়নি পিবিআই।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভিকটিমদের সন্ধান এবং জড়িত আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টাসহ তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানান পিবিআই’র এই তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের আদেশ দেন। এরপর কয়েক দফা ধার্য তারিখ চলে গেলেও এতোদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি পিবিআই।
২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির এই মামলায় আট আসামিকে শনাক্ত করেছিল পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আসামিদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ার অযুহাতে ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনও গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৭ জানুয়ারি সনাক্তকৃত আসামিদের মধ্যে মো. কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়। দুই দফা রিমান্ড শেষে কামালকে কারাগারে নেয়া হয়।
২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। যৌন হয়রানির শিকার কেউ মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করে। তদন্তকালে মামলার ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও সাক্ষীদের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আট জনকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত আট আসামির ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইলেকট্রনিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন