বলিউডের যেসব তারকার প্রেম পরিণতি পায়নি
তাদের পর্দার জীবনে প্রেম রসায়ন প্রতি ক্ষেত্রে সফল ও মধুর হলেও বাস্তব জীবনে দেখা গিয়েছে তার উল্টো। প্রেমের পরিণয় তো আর সব সময় সুখের হয়!
কারও ভালবাসা যেমন পরিণতি পায়, তো কারও মাঝ রাস্তাতেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। কারও আবার পরিণতি না পেলেও সেই ভালবাসার গভীরতা এতটাই যে সারা জীবন মনের মানুষটিকে শুধু ভালবেসেই কাটিয়ে দিতে পারেন। এমনি কিছু বলিউডের ৮টি অসমাপ্ত প্রেম কাহিনী:
অমিতাভ – রেখা : মোস্ট সাকসেসফুল রোমান্টিক যুগলের মোস্ট আনসাকসেসফুল লাভ স্টোরি। অমিতাভ আর রেখার সম্পর্ককে এই ভাবেই বর্ণনা করা হয় বলিউডে। বলা হয়, দু’জনে লুকিয়ে বিয়েও করেছিলেন।
পরে ঋষি কাপূর আর নিতু সিংহের বিয়েতে রেখাকে সিঁদুর আর মঙ্গলসূত্র পড়ে যেতেও দেখা যায়। যদিও অমিতাভ কখনও প্রকাশ্যে এই ভালবাসার কথা স্বীকার করেননি।
মিঠুন- শ্রীদেবী : বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও মিঠুনের প্রেমে পড়েছিলেন শ্রীদেবী। শোনা যায়, দু’জনে বিয়েও করেছিলেন। তার পরেই না কি মিঠুন স্ত্রী যোগিতাকে ছেড়ে শ্রীদেবীর সঙ্গে আলাদা থাকতেন।
স্ত্রী মেনে নিতে পারেননি। সুইসাইডের চেষ্টা করেন। এই খবর শোনা মাত্রই মিঠুন শ্রীদেবীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে স্ত্রীর কাছে ফিরে এসেছিলেন। তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব নয় তা বুঝতে পারেন শ্রীদেবীর। পরে পরিচালক বনি কাপূরের সঙ্গে বিয়ে করে নেন।
সঞ্জীব কুমার-হেমা মালিনি : বলিউডের এই অভিনেতাও হৃদয়ে ব্যথা নিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। ড্রিম গার্ল হেমা তার প্রেম প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
হেমার প্রতি তার ভালবাসা ছিল এক তরফা। কিন্তু তার গভীরতা এতটাই ছিল যে তিনি আর কাউকে ভালবাসতে পারেননি। সঞ্জীব কুমার বিয়েও করেননি।
অক্ষয় কুমার- রবিনা : ১৯৯৪ সালে ফিল্ম ‘মহড়া’ থেকে দু’জনের লাভ স্টোরি শুরু।
এই জুটির অফ স্ক্রিন রসায়ন তাদের অন স্ক্রিনেও প্রভাব ফেলত।
কিন্তু পরে রবিনাই তাদের সম্পর্ক ভেঙে দেন। তার কারণ নাকি, অক্ষয়ের মহিলা প্রীতি! এক ইন্টারভিউয়ে রবিনা বলেছিলেন, ‘‘অক্ষয় সব মেয়েকেই প্রেম নিবেদন করে। এই ভাবে চলতে থাকলে মুম্বাইয়ের তিন-চতুর্থাংশ মহিলার সন্তানের বাবা হবে।’’ যদিও তাদের ব্রেক আপের জন্য রবিনা নির্দিষ্ট করে কাউকে দোষারোপ করেননি।
শিল্পা শেট্টি- অক্ষয় : রবিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই শিল্পার সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক সামনে আসে। এরও কিছু বছর পরে অক্ষয়ের সঙ্গে টুইঙ্কল খান্নার সম্পর্ক সংবাদমাধ্যমের হেডলাইন হয়ে যায়। শিল্পার কানে টুইঙ্কলের কথা পৌঁছনো মাত্র তিনি অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন।
২০০০ সালে এক ইন্টারভিউয়ে শিল্পাও অক্ষয়ের উপরে তার ক্ষোভ উপরে দেন। তিনি বলেন, ‘‘অক্ষয় আমাকে ব্যবহার করেছে। যত দিন প্রয়োজন ছিল আমার সঙ্গে ছিল। অন্য এক জনকে খুঁজে পেয়েই আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।’’
দিলীপ কুমার-মধুবালা : মধুবালার বাবা আতাউল্লা খান তাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন। মধুবালাও কখনও বাবার বিরুদ্ধে যেতে সাহস পাননি। তাই তাদের ভালবাসাও পরিণতি পায়নি।
রাজ কাপূর- নার্গিস : ‘বারসাত’ ছবি থেকেই তাদের সম্পর্ক। কিন্তু বেশি দূর এগোয়নি।
নার্গিসের সঙ্গে পরিচয়ের আগেই রাজ বিবাহিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও নার্গিস রাজ কাপূরের জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করেন। রাজ তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। পরে সুনীল দত্তের সঙ্গে বিয়ে করে নেন।
দেবানন্দ – সুরাইরা : সুরাইয়া তখন খ্যাতির শীর্ষে আর দেবানন্দ সবে এই দুনিয়ার প্রবেশ করেছেন মাত্র। দু’জনের সম্পর্ক শুরু তখন থেকেই। যা সুরাইরায় পরিবারের চাপে বেশি দূর এগোতেও পারেনি। বিশেষ করে সুরাইয়ার দাদিমা তাদের সম্পর্ক মেনে নেননি। পরে দেবানন্দ সুরাইয়াকে মানাবার অনেক চেষ্টা করেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি।
বি:দ্র : সালমানের কথা বলে আর লাভ নেই, ভাইজান নিজেও ঠিক করে বলতে পারবেন না তার জীবনে কতজন নারী এসেছেন। আর তার সব প্রেমই অসমাপ্ত থেকে গেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন