বলিউডের সেরা অভিনেতার সেরা সংলাপ
একজন অভিনেতা তার সংলাপ দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়ে নিতে পারেন। কারণ অভিনেতার বাহ্যিক দেহভঙ্গির সঙ্গে সংলাপও দর্শকের মনে প্রাণে বাজতে শুরু করে।
তবে সংলাপ শুধু ভালো হলেই চলে না, তা উপস্থাপনার যোগ্যতাটাও অভিনেতার থাকতে হয়। সংলাপ আর অভিনয়ে এশিয়ার সেরাদের তালিকায় রয়েছেন বলিউডের বেশ কিছু তারকা। বলিউডের সেরা এ অভিনেতাদের সেরা সংলাপ নিয়ে সাজানো হয়েছে এ রচনা।
রাজ কুমার : ১৯৫২ সালে ‘রঙ্গীলি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিষেক ঘটে বলিউড তথা এশিয়ার ‘কিং অব ডায়লগ’ রাজ কুমারের। ‘সওদাগর’ কিংবা ‘মাদার ইন্ডিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে সেই পরিচয়টি দিয়েছিলেন তিনি। তার জনপ্রিয় সংলাপের মধ্যে ‘থিরাঙ্গা’ সিনেমার ‘হামারু জবান ভি হামারু গোলী কি তরাহ, দুশমনু ছে সিধী বাত কারতি হে’, ‘সওদাগর’ সিনেমায় ‘সিনেমায় ইতিহাস লিখতা নেহি, ইতিহাস বানাতা হায়ে’, ‘বুলুন্দি’ সিনেমায় ‘মেরি নাজার মে পয়দা হোনা তো ইত্তেফাক হে, লিখি জিনা ইত্তেফাক নেহি’, ‘ওয়াক্ত’ সিনেমায় ‘এহ বাচ্চু কি খেলনে কি চিজ নেহি, হাত কাট জায়ে তো খুন নিকাল আয়ে’ ইত্যাদি ডায়লগ খুবই জনপ্রিয়। তবে ‘সওদাগর’ সিনেমার ‘ইতিহাস লিখি না, ইতিহাস তৈরি করি’ ডায়লগটি পরবর্তীতে সমগ্র পৃথিবীজুড়েই সাড়া ফেলেছিল।
অমিতাভ বচ্চন : একের পর এক সিনেমা হিট হয়েছে অমিতাভের ভাষাশৈলী এবং উপস্থাপন যোগ্যতার জন্য। এর মধ্যে ‘দেওয়ার’ সিনেমায় ‘জিস তরাহ গবহি কা ফুল, ফুল হো কর ফুল নেহি হোতা, উসি হি গন্ধে কা ফুল, ফুল হো কর ফুল নেহি হোতা’, ‘ত্রিশুল’ সিনেমায় ‘হাম ভি তো রোজ খ্যাতরু সে খেলতে হ্যায়ে’, ‘মুহাব্বাতিন’ সিনেমায় ‘আগার আপনে মা কা দুধ পিয়া হায়ে তো ছামনে আ’, ‘লাওয়ারিশ’ সিনেমায় ‘আরে ইহা জিনা ভি কই জিনা হে’, ‘কালা পাথার’ সিনেমায় ‘সালা বন্দুক ভি দিখাতা হায়ে আউর পিছে ভি হাঁটতা হায়ে’ ডায়লগগুলো খুবই উল্লেখযোগ্য। এই সিনেমাগুলো মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এই ডায়লগগুলো ভারতীয়দের মুখে মুখে শোনা যায়।
শাহরুখ খান : সমগ্র পৃথিবী অবাক হয়ে গিয়েছিল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারত সফরে এসে হিন্দিতে উচ্চারণ করেছিলেন শাহরুখ খানের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ সিনেমার ‘সেনোরিটা, বাড়ে বাড়ে দেশো মে অ্যায়সি ছোটি ছোটি বাতে হোতি হি রাহতি হ্যায়’ সংলাপটি।
শুধু এই সংলাপ নয়, একাধিক জনপ্রিয় সংলাপের মধ্যে ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমার ‘জিন্দেগি মে কুঁচ বানানা হো, হাসিল কারনা হো তো দিল কি বাত শুনো’ , ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমার ‘তু মেরে খাবো মেই আ কর মুজে এতনা বদল দিয়া, মুজে কিং অব ওয়ার্ল্ড লাগ রাহা হায়ে’ ‘মুহাব্বাতিন’ সিনেমায় ‘পিয়ার জিন্দেগী কি তরাহ হোতা হায়ে, জিস্কা হার মোর আসান নেহি হোতা, হার রাস্তে পার খুশি নেহি মিলতা, পার হাম জব জিন্দেগী কো সাথ লে কর চালতা, হামকো পিয়ার করনে সে জিন্দেগী আসান হোতা’ ইত্যাদি সংলাপগুলো ছাড়াও শাহরুখ খানের প্রায় শ’খানেক জনপ্রিয় সংলাপ রয়েছে যা দর্শকেরকে জয় করেছে।
সালমান খান : ‘এক বার জো মেই কমিটমেন্ট কর দি, উস্কি বাদ মে খুদ কি ভি নেহি সুনটা’ সংলাপটি সালমান অভিনীত ওয়ান্টেড সিনেমা মুক্তি পাবার পর থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। এ ছাড়া ‘তেরে নাম’ সিনেমার ‘সারে দুনিয়া ভি পিয়ার মে পয়দা হোতা হে’ , ‘বডি গার্ড’ সিনেমার ‘মুঝে এহসান করনা, কে মুজ পর কই এহসান না কারনা’ ‘দাবাং’ সিনেমার ‘আবহি তাক সব কো নাহলায়ে হায়ে, আব সব কো ধুঙ্গা’, ‘মেইনে পিয়ার কিয়া’ সিনেমার ‘আজ কাল দরোজা পর নক করকে এনে কি জামানা নেহি হায়ে’ ‘গারভ’ সিনেমার ‘মাইনে আবকা আন্তিম সাংস্কার কর চুকা হো’ ছাড়াও একাধিক সংলাপের মাধ্যমে সালমান খান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
আমির খান : ‘আল ইস ওয়েল’ সংলাপটির মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন আমির খান। ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমা মুক্তির পর সংলাপটি কিশোর থেকে বয়স্ক সবাই সুযোগ পেলেই বলতেন। এ ছাড়া তিনি সব চেয়ে বেশি আলোচিত ‘পিকে’ সিনেমার ‘জো ডর গ্যায়া ও মন্দির গ্যায়া’ ‘এক বার গিয়া হো মুন পে, বহুত লুল প্লেস হে’, ‘ফানা’ সিনেমার ‘আধুরি সাস থি, ধাঢ়কান আধুরি থি, আধুরে হাম, মা আব চাঁদ পুরা হে ফালাক পে, আউর আব পুড়ে হে হাম’ , ‘গজনি’ সিনেমায় ‘মেরে পিতাজি কেহতা থা, কাম জাজবাত কি সাত কারো, জাজবাত হোকার নেহি’ ইত্যাদি সংলাপগুলো অনেক জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে এ ছাড়াও আমির খানের আরো জনপ্রিয় সংলাপ রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যে সিরিজগুলো ২০২৫ মাতাবে
চব্বিশের বছরজুড়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রাজত্ব করেছে “হীরামণ্ডি”, “মির্জাপুর সিজন ৩”বিস্তারিত পড়ুন

অবৈধ জুয়ার প্রচারণায় অপু-বুবলী-পরিমনি-ফারিয়াদের নাম
২০২৪ সালের বিভিন্ন সময় জুয়ার অ্যাপের প্রচারণায় যুক্ত হওয়ায় অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন

৮ বছরের আইনি লড়াই শেষে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ দম্পতির
দীর্ঘ আট বছরের আইনি লড়াই শেষে বিবাহ বিচ্ছেদের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোবিস্তারিত পড়ুন