বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বাঁশের চাই তৈরি শিল্প হারাতে বসেছে, বালিয়াকান্দিতে ভাল নেই কারিগররা

রাশেদ খান মিলন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ মাছ ধরার কারেন্ট জালের ব্যাপক বিস্তারের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পলো ও চাই। এক সময়ে গ্রাম বাংলার খাল-বিল, নদী-নালা থেকে মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করা হতো বাঁশের তৈরি এসব পণ্য সামগ্রী।

এই শিল্পের ওপরে জীবিকা নির্বাহ করতেন রাজবাড়ী জেলার শত শত পরিবার। সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলার খাল-বিল, নদ-নদী নব্যতা হারানোর কারণে এবং কারেন্ট জালের ব্যাপক বিস্তারের ফলে এই শিল্পে জড়িত কারিগরদের পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন ভাল যাচ্ছে না তাদের।

অভাব-অনটন ও এনজিওর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে এ পেশার মানুষরা। অনেকেই জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

রাজবাড়ীর জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউপির প্রায় ৫০০টি পরিবার মাছ ধরার চাই তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্ষাকালে নদী, খাল-বিল, পুকুর পানিতে ভরে ওঠে। গ্রামের কিশোররা কলা গাছের ভেলা বানিয়ে ভেসে বেড়ায় বিলের জলে। মাছ ধরার আনন্দে মেতে উঠে সব বয়সের মানুষ। বর্ষাকাল আসতে এখনও অনেক দেরি আর এখন থেকেই মাছ ধরার প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরিতে আগে ভাগেই ব্যাস্ত সময় পার করছে কারিগররা।

চাই তৈরির কারিগর নবাবপুর ইউপির পদমদী গ্রামের আ. সামাদ খান বলেন, বছর চুক্তিতে ব্যপারীর হয়ে মাছ ধরার সামগ্রী তৈরি করে থাকি। একটি চাই তৈরি করলে ব্যাপারীর কাছ থেকে ১৫-২০ টাকা পেয়ে থাকি।দিনে ১৫-২০টি চাই তৈরি করি। এ থেকে যা আসে তাই দিয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে কোন ভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।

পদমদী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার বশির শেখ বলেন, আমি দুই বছর যাবৎ মাছ ধরার চাই তৈরি করে থাকি। যা হয় কোন রকম ভাবে দিন চলে।তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে বাঁশের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে দেশে এবং বিদেশের চাহিদা মিটানো সম্ভব।

নবাবপুর ইউপির সদা শিবপুর গ্রামের মো. মিলন শেখ বলেন, আমাদের এলাকায় মোট তিনজন ব্যাপারী আছেন। আর এই তিনজনের কাছে মহিলা-পুরুষসহ মোট ৫০০ জন কাজ করে থাকে।

নবাবপুর ইউপির শিবপুর গ্রামের কুটির শিল্পী ব্যাপারী মো. ছলেমান শিকদার বলেন, ব্যবসার মূল সময় হচ্ছে আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র তিন মাস। আর বাকি কয়েক মাস প্রায় বসেই থাকতে হয়। কারণ এ সময় তো আর খাল-বিল ও জলাশয়ে পানি থাকে না। ২৭ বছর ধরে মাছ ধরা চাই তৈরি করে জীবিকা নিবাহ করছি। চাই তৈরির খড়ি-লাকড়ি কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনে এনে বাড়িতে চাই তৈরি করি। প্রতিটা চাই ১০০-১৮০ টাকা দরে ঢাকা, ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদাহ, যশোর, বরিশাল, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করে থাকি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • হরিজনদের উচ্ছেদ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ
  • স্মার্ট কৃষিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিতে কৃষকরা উপকৃত হতে পারবে: কৃষি সচিব
  • খামারবাড়িতে শেষ হলো জাতীয় ফলমেলা ২০২৪
  • ইটনায় বজ্রপাতে রাখাল নিহত
  • ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
  • নারায়ণগঞ্জে জেএমবির দুই সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • ময়মনসিংহে ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা