বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে হলে
আর মাত্র সাড়ে তিন মাস। এরপরই ঠিক হয়ে যাবে, কারা খেলবে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। আর বাংলাদেশ এই আসরে খেলার অন্যতম দাবিদার হিসেবে আছে। স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ এর ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ওপর ভিত্তি করে বাকি সেরা সাতটি দল পাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০১৭তে খেলার সুযোগ। বর্তমান ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ছয়টি দলের এই আসরে খেলা অনেকটা নিশ্চিত। ঝুলে আছে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। আর এই তিন দলের দুটিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করতে হবে নানা সমীকরণের মধ্য দিয়ে।
বর্তমান ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ৮৮.৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাত নাম্বারে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৮৮.২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আট নাম্বারে আছে বাংলাদেশ এবং ৮৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নয় নাম্বারে আছে পাকিস্তান। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ওয়ানডে সিরিজ নেই। তাই সবাইকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজগুলোর দিকে। এ সময়ে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
ওদিকে পাকিস্তান ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ম্যাচ নেই, তাই ওদের রেটিং পয়েন্ট ৮৮.৪ ই থাকবে। এখন বাংলাদেশ যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগে চলে যেতে পারে তাহলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ ম্যাচের যেকোনো ২টি ম্যাচ জিততে পারলেই ৮৯.৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকেট পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। তখন আর পাকিস্তানের দিকে তাকাতে হবে না। তবে বাংলাদেশ আরও বেশি ম্যাচ জিতলে র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থানটাই শক্তিশালী করতে পারবে।
কিন্তু বাংলাদেশ যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে পিছিয়ে থাকে তখন? বাংলাদেশ ৬ ম্যাচের মধ্যে যদি শুধু একটিতে জয় পায়, তাহলে ৮৬.৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেছনে থাকবে। তখন তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান সিরিজের দিকে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে হারতে হবে ৪-১ ব্যবধানে। তাহলে পাকিস্তানের রেটিং হবে ৮৫.৯ পয়েন্ট। কিন্তু পাকিস্তান যদি ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারে তাহলে ৮৭.৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের আগে চলে যাবে।
এখন বাংলাদেশ যদি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ে তাহলে? বাংলাদেশ ৬ ম্যাচের মধ্যে যদি কোনোটিতেই জয় না পায়, তাহলে বাংলাদেশের রেটিং হবে ৮৪.১ পয়েন্ট। সে ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ থাকবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার। তবে সেটা একেবারেই কঠিন। তখন পাকিস্তানকে ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হবে শ্রীলঙ্কার কাছে। তাহলে পাকিস্তানের রেটিং হবে ৮৩.৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ বাংলাদেশ দুই সিরিজে কোনো ম্যাচ না জিততে পারলে এবং পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেকোনো ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের আগে চলে যাবে পাকিস্তান।
এত সমীকরণের জটিলতায় না পড়তে চাইলে বাংলাদেশকে ৬ ম্যাচের যেকোনো ২ টিতে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে থেকেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করতে হবে। সেটা ভারত সিরিজেই সম্ভব। ভারতকে ২-১ ব্যবধানে বা ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করলেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকেট পেয়ে যাবে। তখন লড়াই হবে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে অষ্টম দল হিসেবে কে যাবে।
এখানে আরেকটা কথা বলা জরুরি। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বরের ভেতরে থাকতে পারলে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ, খেলতে হবে না বাছাই পর্ব। এ কারণেই এবার র্যাঙ্কিং, রেটিং পয়েন্ট-এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন