বাংলাদেশি হত্যার দায়ে মালয়েশিয়ায় দুই পুলিশের মৃত্যুদণ্ড

মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে দুই ইমিগ্রেশন পুলিশের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত। শুক্রবার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বিচারপতি আবুবকর কাতার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, কাঙ্গার পারলিসের ইমিগ্রেশন পুলিশ মো. আমিনউদ্দিন ইয়াসিন এবং জুহাইরুল ইফিন্দি জুলকাফলি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর কাঙ্গার পারলিসে ৪৫ বছর বয়সী অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি আবু বকর সিদ্দিককে খুন করে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর কানগার হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে অানিত অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে খালাস দিয়েছিল। পরবর্তীতে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।
বিচারপতি আবুবকর কাতার জানান, আদালতে প্রতিরক্ষা প্রসিকিউশন মামলার বিরুদ্ধে যুক্তিসংগত সন্দেহ উত্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রসিকিউশনে সফলতার সঙ্গে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। দোষী সাবস্ত্য হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে মামলার তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, আটক আবু বকর সিদ্দিক গ্যাস্ট্রিকের আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ওষুধ দেয়ার জন্য ওই কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেন। তারপর সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তাকে লকআপের বাইরে আনা হয়েছিল এবং ইমিগ্রেশনের ওই দুই কর্মকর্তার হাতে লম্বা কাঠের লাঠি ছিল। ওই সময় আবু বকরের অপর এক সঙ্গী অভিযোগ করেছিলেন যে ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে মারধর করেছিল।
এ ঘটনার পরে আবু বকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ৪ নভেম্বর ২০১৪ সালে আবুবকর মারা যান। ময়নাতদন্তে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং একাধিক বেত্রাঘাতের ফলে নরম টিস্যু জখম হয়ে আবু বকরের মৃত্যু হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন