বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে ভারতের নতুন সরকার : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে। ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার বিষয়টি তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত নিঃসন্দেহে অনেক প্রভাবশালী প্রতিবেশী। তাদের দেশে যেভাবে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, এখনও তাদের নির্বাচন কমিশন যেভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তাদের বিচার বিভাগ যেভাবে কাজ করতে পারে, সেই একই লক্ষ্য নিয়ে আমরা দেশে গণতন্ত্রকে সেভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ভারতের নতুন সরকার বাংলাদেশের জনগণের সেই প্রত্যাশাকে মর্যাদা দেবে এবং সেভাবেই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (সরকার) পরিকল্পিতভাবে দেশকে একটা নতজানু ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আজকে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই শেষ পর্যায় গিয়ে পৌঁছেছে। এখনও তারা যে প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরেছে তা তাদের লুটপাটের বাজেট। দেশের কোথাও বিচার নেই, কোথাও ব্যবসা করতে গেলে তার সুযোগ পাবেন না। টাকা দিতে হবে, ঘুষ ছাড়া কেউ কথা বলে না। শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করেছে। সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে, গণতান্ত্রিক অধিকার, প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার, ভোটের অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। আজকে গোটা পরিবার, দল এবং ব্যক্তিকে নিয়ে একটা পুরোপুরি ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, যে ফ্যাসিবাদে আমরা নির্যাতিত হচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা (আওয়ামী লীগ) আজিজ-বেনজীরের আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগ এখন নেই যে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিল, সেই আওয়ামী লীগ নেই যারা আমাদের সঙ্গে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম-লড়াই করেছিল। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই তাদের কেমিস্ট্রিতে পরিবর্তন শুরু হয়। সেই পরিবর্তনটা হচ্ছে- সর্বগ্রাসী হওয়া শুরু করে। শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বলেছিলেন, সবাই পায় সোনার খনি, আমি পাই চোরের খনি। তাদের চোরের খনি সব দিকে।’
‘যেমন করে হোক এই দানবকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এর পথ একটাই- জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে এবং সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে।’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
জলবায়ু তহবিল খেয়ে ফেলার অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়াবহ অবস্থা চলছে। এটাকে প্রতিরোধ করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে কিছু তহবিলও বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছিল। সেটা তারা (সরকার) খেয়ে ফেলেছে। এদের তো ক্ষুধার শেষ নেই। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা। তারা এখন সব কিছু খেয়ে ফেলছে।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি নাসির হায়দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন