বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে এখন কি বলবে ক্রিকেট বিশ্ব ?
যুক্তরাজ্যে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত, ব্যথিত, বেদনার্ত। সর্বশেষ লন্ডন স্থানীয় সময় শনিবার রাতের হামলায় তিন হামলাকারীসহ ১০ জন নিহত হয়েছে। এরকম সন্ত্রাসী হামলায় মানুষের প্রাণহানিতে আমরা শোকাহত। নিহতদের স্বজন এবং যুক্তরাজ্যবাসীর প্রতি আমারা সমবেদনা জানাই। এর আগে গত ২২ মে ম্যানচেস্টারে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের পপ কনসার্টে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও ছিল। শনিবারের হামলাটি গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে তৃতীয় সন্ত্রাসী হামলা। একের পর এক এতো বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা না ঘটলেও বাংলাদেশে যে ক’টি ঘটেছে তাতে অামরা যুক্তরাজ্যের মানুষদের বেদনা অনুভব করতে পারি।
নিরাপত্তা নিয়ে তাদের শঙ্কাও আমরা বুঝতে পারি। অতো বড় না হলেও আমাদেরও এরকম নিরাপত্তাহীনতা ও শঙ্কার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, যেতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বা কোথাও আর এরকম সন্ত্রাসী হামলা না ঘটুক সেটা যেকোন বিবেকবান মানুষের মতো আমাদেরও চাওয়া। এ চাওয়াটা এখন আরও বেশি এ কারণে যে আমাদের ক্রিকেট দল এখন যুক্তরাজ্য সফরে আছে। তাদের সঙ্গে অনেক কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকও আছেন। এছাড়াও যুক্তরাজ্যে অভিবাসী বাংলাদেশের মানুষ অনেক। তাই নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমরা বেশি শঙ্কা অনুভব করছি। আমরা জানি, আমাদের ক্রিকেট দলকে ব্রিটিশ সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে যেমনটা আমরা দেই যখন কোন বিদেশী দল বাংলাদেশ সফরে আসে। যুক্তরাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমরা আস্থা রাখতে চাই। আমরা এটাও চাই, অন্য কোন দল যখন বাংলাদেশ সফরে আসে তখন অামাদের সরকার যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয় তাতে যেন তারা আস্থা রাখে, কোন দ্বিপাক্ষিক সফর বা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ থেকে যেন কেউ বিরত না থাকে।
এ মুহূর্তে আমাদের ক্রিকেটার, তাদের স্বজন এবং পুরো বাংলাদেশ সেখানে থাকা ক্রিকেট দলের জন্য উৎকণ্ঠিত থাকলেও আমরা এটা বলব না যে তারা চলে আসুক। সন্ত্রাসী হামলা এখন আর কোন দেশকে বাছাই করে হচ্ছে না। যারা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে বলে দাবি করে তারাও নিত্যনতুন স্টাইলের সন্ত্রাসী হামলা থেকে নিজেকে বাইরে রাখতে পারছে না। বিশ্বব্যাপী এ সন্ত্রাস দমনে বিশ্বকে যেমন একসঙ্গে লড়তে হবে, তেমনি একে অন্যের প্রতি আস্থাও রাখতে হবে। আ
মরা যেমন এখন আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আস্থা রাখছি তেমনি চাই, ভবিষ্যতে তারা বা অস্ট্রেলিয়া কিংবা অন্য কোন দলও একইরকম আস্থা রাখবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অজুহাত দেখিয়ে এটা বলার সুযোগ নেই যে অমুক দেশে যাবো না বা তমুক দেশে যাবো। সন্ত্রাসবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। কোন দেশই তা থেকে বাইরে নয়। একযোগে সাহসের সঙ্গে এ সন্ত্রাসবাদকে মোকাবেলা করতে হবে। কেউ কখনও বাংলাদেশ বা কোন নির্দিষ্ট দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রশ্ন তুলে কোন সফর থেকে পিছিয়ে গেলে সেটা বরং সন্ত্রাসবাদকেই উৎসাহ দেবে। আমরা যুক্তরাজ্যে থাকা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বানের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বারবার ভঙ্গুর প্রমাণ হওয়ার পরও তাদের উপর আস্থা রাখছি। আস্থার এ জায়গাটা দু’ পক্ষ থেকেই হতে হবে। কোন দল যেমন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বের হয়ে যায়নি, সব ক্ষেত্রেই সেটার চর্চা করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন