বাংলাদেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ সমকামী
বাংলাদেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ সমকামীএকটি পুরুষের সঙ্গে একটি পুরুষের কিংবা একটি মেয়ের সঙ্গে একটি মেয়ের মানসিক ও শারীরিক সম্পর্ককেই সমকামিতা বলা হয়।
বাংলাদেশে সমকামীদের জন্য কোনো বিধিবদ্ধ আইন বা নীতিমালা না থাকলেও ঢাকার মতো বড় শহরগুলোয় সমকামীদের সংখ্যা দিন দিন গোপনে বেড়েই চলেছে। বেড়ে চলেছে তাদের সংগঠনের পরিধিও।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমকামীদের বৈধতা দেয়া হলেও বাংলাদেশে সামাজিক কারণে তারা বৈধতা পায়নি। তাই গোপনেই চালাতে হচ্ছে তাদের কার্যক্রম। আড়ালে রাখেন সমকামী পুরুষ অথবা নারী তাদের নিজেদেরকেও।
তবে ইদানীং তারা তাদের পরিচয় গোপন রাখতে চান না। এ কারণেই তারা নিজেদের অধিকারের কথা বলে তৈরি করছেন কিছু কিছু সংগঠন।
তবে পুরুষ সমকামীরা নিজেদের যেভাবে প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করেন, নারী সমকামীরা নিজেদের সেভাবে প্রকাশ্যে আনতে পারেন না।
আরিফ ছদ্মনামে একজন সমকামী জানান, সমকামীরা একটি সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে যেতে চান, কিন্তু যেহেতু তারা সামাজিক কারণে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারেন না, তাই তারা আবার অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
আরিফ জানান, তার সঙ্গে একটি ছেলের প্রায় ১২ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল, কিন্তু একটি মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তাই তিনি আবার আরেকটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই সম্পর্কটি নিয়েও তিনি সন্দিহান যে কতদিন এটা টিকে থাকবে। এটা চারপাশের পরিবেশ মেনে নিতে পারবে কি না।
২০০২ সালে কয়েকজন পুরুষ সমকামী মিলে ‘ভয়েজ অব বাংলাদেশ’ নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে নিজেদের প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু তারা এতে অনেক বাধার সম্মুখীন হন।
‘ভয়েজ অব বাংলাদেশ’ বা ‘ভব’-এর একজন প্রতিনিধি তানভির আলিম বলেন, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা অনেক সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন। ‘ভব’ কাজ করছে এই সংক্রাšত্ম ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলা এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য।
তানভির আলিম বলেন, আমরা চাই সরকার যেন আমাদেরকে স্বীকৃতি দেয়। আমাদের সংশ্লিষ্ট আইনগুলো যেন সংশোধন করা হয়। আমরা চাই, একটা মানুষকে যেন মানুষ হিসেবে বিচার করা হয়। সে নারী না পুরুষ, কিংবা তার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন কীÑ এর ভিত্তিতে যেন দেখা না হয়।
ফেসবুকে এখন তাদের ফলোয়ার দুই হাজারের মতো মানুষ। মাঝে মাঝে তারা কিছু অনুষ্ঠান করে, তাতে বিভিন্ন বয়স ও পেশার প্রায় ২০০-২৫০ জনের মতো ছেলেরা আসেন।
কিন্তু প্রচলিত আইন কথা বলছে তাদের বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সানাইয়া আনসারি বলেন, সংবিধানে সবার মৌলিক অধিকারের কথা বলা হলেও বাংলাদেশের দন্ড-বিধি আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে সমলিঙ্গের কোনো মানুষ একে অপরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা অস্বাভাবিক একটি অপরাধ। এর জন্য শাস্তি দশ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সমকামীদের জন্য কোনো ইতিবাচক আইন নেই।
বাংলাদেশে এই সমকামীদের নিয়ে কাজ করছে কিছু বেসরকারি সংস্থাও। তবে এইডস্ প্রতিরোধেই তাদের কাজ বেশি।
সংস্থাগুলো জানায়, যৌনতা নিয়ে কেউ সরাসরি কথা বলতে না চাওয়ায় তাদের কাছে কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে বলা হয়, একটি দেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ প্রচলিত যৌনকর্মের বাইরে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। সূত্র: বিবিসি রিপোর্ট
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন