আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এই সফরে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে দুইটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনি টেস্ট সিরিজে খেলবেন না।

শুধু তাই নয়, তার আগে জুলাই-আগস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও তিনি খেলবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরেও তিনি টেস্ট সিরিজে থাকছেন না। তবে, চলতি বছরের শেষের দিকে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিরুদ্ধে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেন।

এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, আমি এখনই প্রস্তুত নই। আমি আমার কনুইয়ের ব্যাপারে সতর্ক। সার্জন আমাকে বলেছেন, এটি স্বাভাবিক হবে। আমিও আত্মবিশ্বাসী।

তিনি আরও বলেছেন, টেস্ট দলে নিজেকে ফিরে পেতে তিনি টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আগামী মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলবেন।

তিনি বলেছেন, অনেক ক্রিকেট আছে। কিন্তু আমার জন্য অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আমার প্রাধান্যও বদলে গেছে। এই মুহূর্তেই আমি দলে ফিরতে চাই না। আমি টাইটান্সের হয়ে রান করতে চাই।

এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, তিন ফরম্যাটে খেললে আমার মনে হবে যে পুরো বিশ্ব আমার কাঁধের উপর। আইপিএল আসিসি সেট-আপের অংশ হয়ে গেছে। আপনি আমাকে অন্য লিগে খেলতে দেখবেন না। আমি শুধু আইপিএল ও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলব।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৭ সালের শেষের দিকে যদি তিনি আবার টেস্ট ক্রিকেটে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেন তাহলে প্রায় দুই বছর টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে থাকবেন। ধারাবাহিক কনুইয়ের ইনজুরির কারণে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে তিনি টেস্টে অধিনায়কের পদ ছেড়ে দেন। এরপর ফাফ ডু প্লেসিসকে অধিনায়ক করা হয়।