বাংলাদেশের ‘বুঝিয়ে দেয়া’র লড়াই
১৬ বছর আগে যাদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলা, আগামীকাল তাদের মাঠে আরেকটি প্রথম অধ্যায় রচিত হবে। এতদিন বাংলাদেশকে কেন ডাকেনি ভারত, এ নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে। সব কিছুর ভিড়ে গতকাল হার্শা ভোগলে বলেছেন, এই না ডাকাটা ভারতের ‘ঐতিহাসিক ভুল’। মুশফিকদের বুঝিয়ে দিতে হবে হার্শা ভোগলে ঠিকই বলেছেন।
ভারত নিজেদের মাটিতে সবসময় দারুণ শক্তিশালী। তার ওপর কোহলির অধিনায়কত্বে দলটির আগ্রাসন বেড়েছে। বাংলাদেশের সতর্ক থাকার বিকল্প নেই।
ইমরুল কায়েস দেশে ফেরায় উদ্বোধনীতে সৌম্য সরকার অনেকটা নিশ্চিত। প্রস্তুতি ম্যাচে অর্ধশতক করে নিজের জায়গা প্রায় পাকাই করে ফেলেছেন।
মিডল অর্ডারে সাকিব আল হাসান, মুশফিক, রিয়াদ, সাব্বির আছেন। তাদের দিকে তাকিয়ে থাকার আগে আরেকজনকে ‘কিছু একটা’ করতে হবে।
তামিম ইকবাল। ওপেনে তার ব্যাট হাসলে শুরুতে মানসিক শক্তি সঞ্চারিত হবে। সৌম্য ক্যারিয়ারের শুরুতে এই কাজটা ভালোই করছিলেন। দুর্দান্ত সব শটে ড্রেসিংরুমে বার্তা পাঠাতেন, ‘বল সহজই হচ্ছে।’ কিন্তু সেই সৌম্যর দেখা নেই অনেকদিন। খেলার ধরনেও পরিবর্তন এনেছেন। আগের মতো মোহনীয় শটে যেতে চান না। ভরসা তাই ওই তামিম।
ভারতের অনুশীলন দেখে শক্ত লড়াইয়ের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। কোহলি ইঙ্গিত দিয়েছেন করুন নায়ার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেও রাহানের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
রাহানের ইনজুরি ছিল। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য বলছে, এখন তিনি সুস্থ। ২৮ বছর বয়সী অধিনায়ক কোহলি বলছেন, ‘করুন যা করেছে তা স্মরণীয়। কিন্তু আপনি দুই বছর ধরে পরিশ্রম করা রাহানের অবদান ভুলে যেতে পারেন না।’ রাহানে এখন পর্যন্ত ৩২টি টেস্ট খেলেছেন। রান আছে ২২৭২। শতক আটটি।
নেটে কুম্বলের হাবভাব দেখে বোঝা যাচ্ছে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নিয়ে ঝাঁপাবেন-মুরালি বিজয়, লোকেশ রাহুল, পূজারা, কোহলি এবং রাহানে। অল-রাউন্ডার হিসেবে থাকতে পারেন অশ্বিন, জাদেজা এবং জয়ন্ত যাদব। উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহা। আর পেস আক্রমণে থাকবেন ইশান্ত শর্মা এবং উমেশ যাদব।
বাংলাদেশ দলে লিটন কুমার দাসের নাম যোগ হওয়ায় একাদশ নিয়ে চমকের অপেক্ষা করছেন অনেকে। লিটন সম্প্রতি ঘরোয়া লিগে ডাবল সেঞ্চুরি করে কোচের মন কেড়েছেন। নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে নিয়মিত দলের সঙ্গী ছিলেন। টানা অফ-ফর্মে থাকায় ঘরোয়া লিগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেই লিটন যখন আবার রানে ফিরেছেন, তখন দলে ঢুকলেও ঢুকতে পারেন।
উইকেট স্পিন নির্ভর হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভরসা বলতে ওই সাকিব আল হাসান। প্রস্তুতি ম্যাচে মিরাজকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ১৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ভারতীয় তরুণরা তাকে অনায়াসে খেলেছেন। কোহলিরা সেখানে কী করবেন, তা ভাবতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়!
লড়াই যখন ‘বুঝিয়ে দেয়া’র, তখন ঝাঁপটা হবে মরণপণ। একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আছেন। পরিণত এক ওপেনার আছেন। আছেন মিডল-অর্ডারে হাল ধরার মতো অধিনায়ক। আছেন স্বপ্নাতুর কয়েক ‘যুবক-যোদ্ধা’। স্বপ্ন দেখতে আর ভয় কীসের!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন