বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস
দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন। এরপর আর প্রতিরোধ দিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বিদায়ের মিছিল শুরু হয় ৫৮, ৭৩, ৯২, ১০০ ও ১০৬ রানে। এভাবে আরও ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সর্বশেষ ১১৫ রানে বিদায় নেন মিরাজ। ৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও একটি বড় জুটির জন্য হাহাকার কমাতে পারছেন না কেউ। বরং দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেছে ব্যাটিং ধস। বাংলাদেশ মাত্র ৩৫ রানে এগিয়ে থেকে চা বিরতিতে যায়। বিরতি থেকে ফিরে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম উইকেট হারায় তারা। সফরকারীদের স্কোরবোর্ডে জমা ৮ উইকেটে ১১৫ রান। মাত্র ৫০ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের চোটে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব পাওয়া তামিম ক্রাইস্টচার্চে নেতৃত্বে কিছুটা ভালো করলেও ব্যাটিংয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। ক্রাইস্টচার্চে দুই ইনিংসে তার রান ৫ ও ৮। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ এ ওপেনার। এবারও টিম সাউদির শিকার তিনি। প্রথম ইনিংসে উইকেট কিপার বিজে ওয়াটলিংয়ের কাছে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সোমবার দিলেন মিচেল স্যান্টনারের হাতে। দলীয় ১৭ রানেই অধিনায়কের বিদায়। এরপর তিনজন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরেছেন। যাদের কেউই বড় জুটি গড়তে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে ৬৫ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বড় ভরসা ছিলেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ৪১ রানের জুটি গড়েন তারা। সৌম্য ব্যক্তিগত ৩৬ রানে কলিন ডি গ্রান্ডহোমের শিকার হন। অথচ প্রথম ইনিংসের এ হাফসেঞ্চুরিয়ানের কাছে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা ছিল। একই ওভারে জিত রাভালের কাছে জীবন পাাওয়া সাকিব আল হাসান ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি। ব্যাটিং লাইনআপের এ স্তম্ভ মাত্র ৮ রানে সাউদির দ্বিতীয় শিকার। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সাকিবের জুটি ছিল ১৫ রানের। প্রথম ইনিংসের দুই হাফসেঞ্চুরিয়ানকে হারানো বাংলাদেশের শেষ ভরসা মাহমুদউল্লাহও আউট ৩৮ রানে। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার জুটি ১৯ রানের। ক্রিজে নেমে ১১ বল খেলে রানের খাতা না খুলেই ওয়াগনারের কাছে উইকেট হারান সাব্বির। নাজমুলের সঙ্গে তার জুটি মাত্র ৮ রানের। চা বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় বলেই নুরুল হাসান সোহানকে ফেরান ওয়াগনার। কোনও রান করতে পারেননি এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। কয়েক ওভার বিরতি দিয়ে ট্রেন্ট বোল্টের নিচু বল নাজমুলের মিডল স্ট্যাম্প নাড়িয়ে দেয়। অন্য ব্যাটসম্যানদের দ্রুত যাওয়া আসার দিনে ৬০ বল খেলেছেন তিনি, করেছেন মাত্র ১২ রান।
এর আগে সোমবার চতুর্থ দিনের বল মাঠে গড়ায় আধা ঘণ্টা দেরিতে । ৫৬ রানে হেনরি নিকলস ও টিম সাউদি ৪ রানে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে এগিয়ে নেওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন। এমন সময় সাকিব আল হাসান তার দিনের তৃতীয় ওভারে সাউদিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের উইকেট উদযাপনের উপলক্ষ্য তৈরি করেন। বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৩৫৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন।
সাউদির উইকেট শিকারি হতে পারতেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৫ রানে সাউদির ক্যাচটি নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে জীবন পাওয়ার দুই ওভার পরই সাকিবের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ তোলেন সাউদি। ১৭ রানে থামে তার ইনিংস। এটি সাকিবের চতুর্থ উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে তিনি তিনটি উইকেট নেন।
সকাল সকাল আরেকটি জীবন পায় নিউজিল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের বলে ৭ রানে নেইল ওয়াগনারের তুলে দেওয়া বলটি হাতে নিলেও ধরে রাখতে পারেননি রাব্বি। এক বল পরে তাসকিনের এলডবিডব্লিউর আবেদনে ওয়াগনারকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউয়ে বেঁচে যান কিউই ব্যাটসম্যান।
এরপর মিরাজ ৯৮ রানে নিকলসকে বোল্ড করেন। ২৬ রানে রান আউট হন নেইল ওয়াগনার।
উল্লেখ্য বৃষ্টিতে ভিজে পরিত্যক্ত হয়েছে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। রবিবার রাতেও এখানে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আকাশ এখানে এখন এই রোদেলা, এই মেঘলা। তবে আজ এখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্বাভাসে নেই। থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে।
নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ খেলা শেষ এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথম দিনে বাংলাদেশ ২৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে বোলাররা অনেক ভালো বল করাতে, শেষ বিকেলে বিশেষ সাকিব ঝলকে টেস্টের মোমেন্টাম তৈরি হয় অতিথিদের পক্ষে। কিন্তু রবিবার দিনভর টানা বৃষ্টিতে একটি বলও মাঠে না গড়ানোয় সেই মোমেন্টাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ দিন খেলতে নামে ৭ উইকেটে ২৬০ রানে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন