বাংলাদেশের সোনার মেয়েরা লোকাল বাসে চরম লাঞ্ছনার শিকার !
বাছাইপর্বের প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন এএফসি দলের মেয়েরা। অথচ দুই দিনের ব্যবধানেই চরম লাঞ্ছনার শিকার হন দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা সোনার মেয়েরা।
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরম দুর্ভোগ এবং ভোগান্তির শিকার হয়েছে কলসিন্দুরেরর নারী ফুটবলাররা। লোকাল বাসে করে ময়মনসিংহ যেতে হয় তাদের। পথে কয়েকজন যাত্রীর কটূক্তির পাশাপাশি শোনতে হয়েছে অশ্লিল ভাষায় গালাগালাজও। এতে হতভাগ ক্ষুব্ধ মারিয়া ও সানজিদারা।
ঢাকা থেকে ধোবাউরাগামী বাস। থেমে থেমে উঠানো হচ্ছে যাত্রী। আর এই লোকাল বাসেই কিনা বাড়ি ফিরছেন ইতিহাস গড়া বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৬ দলের কলসিন্দুরের নারী ফুটবলাররা।
এতো বড় অর্জনের পর মেয়েরা কলসিন্দুরে ফিরছে লোকাল বাসে করে। সঙ্গে নেই কোন অভিভাবক বা বাফুফের কেউ।
আর বাসে তাদের শুনতে হয়েছে বিভিন্ন লোকের অশ্লীল কটূক্তি। শুনতে হয়েছে গালিগালাজ। এছাড়াও ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাদের।
আপডেট- বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা
দিন না পেরুতেই ফের শারীরিক ‘লাঞ্চনার শিকার’ নারী ফুটবলার কলসিন্দুরের তাসলিমার পরিবার !
দেশের জন্য এতো কিছুর করার পর এই ছিল তাদের প্রাপ্তি! এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত কলসিন্দুরের মেয়েরা।
চলন্ত অবস্থায় দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভিকে এক ফুটবলার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এত সুন্দর একটা রেজাল্ট করলাম আমরা। বাংলাদেশের জন্য খেললাম…কিন্তু এই (ঘটনার পর) যাত্রাটা বইতেছি তা খুব কষ্ট লাগতাছে।’
তবে নারী ফুটবলারদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের হয়ে কথাও বলেন কেউ কেউ। কিন্তুু এই প্রতিবাদ করায় নাজেহাল হতে হয় তাদেরকেও।
ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ফিরতে ঢাকা মহাখালি বাস স্ট্যান্ড থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাসে উঠে কলসিন্দুরের এই নারী ফুটবলাররা আর পৌঁছায় বেলা ৩টায়। সাথে ছিলো না কোনো অভিভাবক বা বাফুফের কর্মকর্তা।
বিষয়টি অবাক করার মতোই । ।বাংলাদেশের নারী ফুটবলকে যারা এগিয়ে নিয়ে গেলো বিশ্বের দরবারে, এনে দিলো সম্মানের মুকুট তাদের বাড়ি ফেরা লোকাল বাসে অভিভাবক বিহীন।
তারপরও সীমাহীন দুর্ভোগ শেষে ঈদে বাড়ি ফিরছে এইটুকুই তাদের সান্তনা। তবে মেয়েদের এই দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে হতভাগ তাদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
আর বাফুফের এই ধরনের দায়িত্বহীন কাজে হতাশ হয়ে এর নিন্দা জানায় কলসিন্দুরের নারী ফুটবলারদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
লাঞ্ছনার শিকার হওয়া এক মেয়ের অভিভাবক বলেন, আমরা যখন মেয়েদের বাড়ি থেকে বিদায় দেই, তখন থেকে বাংলাদেশ সরকার বা ফেডারেশনের ওপরই থাকে। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে ফেডারেশনের কোনও প্রতিনিধি না থাকার জন্যই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা যদি এভাবে মেয়েদেরকে পথে ছেড়ে দেয় তাহলে আমরা তাদেকে আর ভরসা করতে পারবো না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন