বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাধ্য হয়ে ভিক্ষবৃত্তিতে নামছেন
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রাখাইন প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের অধিকাংশেরই ঠাই হয়েছিলো কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। সেখানে এসে নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে রোহিঙ্গারা।
স্বজাতির সাহায্যে শরণার্থী শিবিরে অনিবন্ধিত অবস্থায় জায়গা পেলেও পেটের ক্ষুধা নিবারণের স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি অনেকেরই। দেশ থেকে পালিয়ে আসার সময় যেটুকু সম্বল নিয়ে এসেছিলেন তা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ক্ষুধার তাড়নায় শেষ পর্যন্ত ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা।
এদের অধিকাংশকেই কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের দু’পাশ ধরে ভিক্ষার আশায় বসে থাকতে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের দেয়া তথ্যনুযায়ী, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যাচারে কমপক্ষে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশই কুতুপালং, বালুখালী, নয়াপাড়া, লেদা ও শামলাপুরের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় মিললেও এদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়নি।
ফলে ভিক্ষার আশায় শরণার্থী ক্যাম্পে যাওয়ার রাস্তা ধরে অনেকদূর আগে থেকেই রাস্তার পাশে জটলা বেঁধে বসে আছেন অনেক রোহিঙ্গা। রাস্তার প্রায় প্রতিটি গাড়ি থেকেই সাহায্যের আশায় সেটিকে থামানোর চেষ্টা করছেন তারা। এছাড়া চলচলরত কোনো পথচারীকে পেলেও হাত পাতছেন।
এদেরই কয়েকজন জানান, ক্যাম্পে একেকটি ঝুঁপড়ি ঘরের মাসিক ভাড়া দিতে হয় তিনশ’ টাকা থেকে পাচশ’ টাকা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় সাথে অল্প যা কিছু অর্থ আনতে পেরেছিলেন তা দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রথমেই শেষ হয়েছে। এরপরও প্রথম সপ্তাহটি কোনোরকমে কাটিয়েছেন। কিন্তু তারপর থেকে পেটের ক্ষুধা সইতে না পেরে রাস্তায় নেমেছেন সবাই।
কুতুপালং ক্যাম্পের আগের রাস্তা ধরে অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ছাড়া শিশুদেরকেও ভিক্ষার জন্য রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিক্ষারত অনেক রোহিঙ্গা জানান, তাদের খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। এক বেলা খাওয়ার পর পরবর্তী বেলা খেতে পারবেন নাকি উপোস থাকতে হবে সেটা তারা জানেন না।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও তা খুবই অপ্রতুল বলে জানালেন এইসব রোহিঙ্গারা। তারা জানান, রাস্তার পাশে ভিক্ষাবৃত্তি করে মাঝে মাঝে অল্প কিছু আয় হলেও এমনও অনেক দিন রয়েছে যেদিন একটি টাকাও ভিক্ষা পান না। সেইদিন তাদের না খেয়েই কাটাতে হয়।
এদিকে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, এসব রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ক্যাম্প ছেড়ে বের না হওয়ার নির্দেশ রয়েছে। তবু তারা বের হচ্ছেন। এখন মানুষ সাহায্য দিচ্ছে বলে তারা ভিক্ষা করতে পারছে। কিছুদিন পর ভিক্ষা না পেলে তারা চুরি-ডাকাতিতে লিপ্ত হবে। তাই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন
আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন