শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাধ্য হয়ে ভিক্ষবৃত্তিতে নামছেন

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রাখাইন প্রদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের অধিকাংশেরই ঠাই হয়েছিলো কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। সেখানে এসে নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে রোহিঙ্গারা।

স্বজাতির সাহায্যে শরণার্থী শিবিরে অনিবন্ধিত অবস্থায় জায়গা পেলেও পেটের ক্ষুধা নিবারণের স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি অনেকেরই। দেশ থেকে পালিয়ে আসার সময় যেটুকু সম্বল নিয়ে এসেছিলেন তা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। ক্ষুধার তাড়নায় শেষ পর্যন্ত ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা।

এদের অধিকাংশকেই কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের দু’পাশ ধরে ভিক্ষার আশায় বসে থাকতে দেখা গেছে।

জাতিসংঘের দেয়া তথ্যনুযায়ী, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যাচারে কমপক্ষে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশই কুতুপালং, বালুখালী, নয়াপাড়া, লেদা ও শামলাপুরের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় মিললেও এদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়নি।

ফলে ভিক্ষার আশায় শরণার্থী ক্যাম্পে যাওয়ার রাস্তা ধরে অনেকদূর আগে থেকেই রাস্তার পাশে জটলা বেঁধে বসে আছেন অনেক রোহিঙ্গা। রাস্তার প্রায় প্রতিটি গাড়ি থেকেই সাহায্যের আশায় সেটিকে থামানোর চেষ্টা করছেন তারা। এছাড়া চলচলরত কোনো পথচারীকে পেলেও হাত পাতছেন।

এদেরই কয়েকজন জানান, ক্যাম্পে একেকটি ঝুঁপড়ি ঘরের মাসিক ভাড়া দিতে হয় তিনশ’ টাকা থেকে পাচশ’ টাকা। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় সাথে অল্প যা কিছু অর্থ আনতে পেরেছিলেন তা দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রথমেই শেষ হয়েছে। এরপরও প্রথম সপ্তাহটি কোনোরকমে কাটিয়েছেন। কিন্তু তারপর থেকে পেটের ক্ষুধা সইতে না পেরে রাস্তায় নেমেছেন সবাই।

কুতুপালং ক্যাম্পের আগের রাস্তা ধরে অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ছাড়া শিশুদেরকেও ভিক্ষার জন্য রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিক্ষারত অনেক রোহিঙ্গা জানান, তাদের খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। এক বেলা খাওয়ার পর পরবর্তী বেলা খেতে পারবেন নাকি উপোস থাকতে হবে সেটা তারা জানেন না।

জাতিসংঘ এবং অন্যান্য এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও তা খুবই অপ্রতুল বলে জানালেন এইসব রোহিঙ্গারা। তারা জানান, রাস্তার পাশে ভিক্ষাবৃত্তি করে মাঝে মাঝে অল্প কিছু আয় হলেও এমনও অনেক দিন রয়েছে যেদিন একটি টাকাও ভিক্ষা পান না। সেইদিন তাদের না খেয়েই কাটাতে হয়।

এদিকে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, এসব রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ক্যাম্প ছেড়ে বের না হওয়ার নির্দেশ রয়েছে। তবু তারা বের হচ্ছেন। এখন মানুষ সাহায্য দিচ্ছে বলে তারা ভিক্ষা করতে পারছে। কিছুদিন পর ভিক্ষা না পেলে তারা চুরি-ডাকাতিতে লিপ্ত হবে। তাই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দিতে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল

ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা
  • দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
  • উপদেষ্টা: গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন চাকরিতে 
  • ইরানে সরকার পরিবর্তন চান না ট্রাম্প
  • কমলো স্বর্ণের দাম, ভরি পৌনে দুই লাখের কাছাকাছি
  • ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৭১
  • গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে
  • আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র