সোমবার, জুন ২৩, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশে বিপুল পরিমান পাকিস্তানী জঙ্গি

বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি নাগরিক বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন।
এদের অধিকাংশই জঙ্গি প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। ভ্রমণের নামে গত তিন মাসে এসব নাগরিক বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানা গেছে। এদের অনেকে মাসে ৪ থেকে ৫ বার যাতায়াত করেছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
অতীতে এতো পাকিস্তানি নাগরিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশে আসেনি বলে জানিয়েছে দুটি গোয়েন্দা সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে গোয়েন্দারা এটি পর্যবেক্ষণে আনেন। অনুসন্ধানের পরে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন, এসব পাকিস্তানি নাগরিক আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পাকিস্তানি নাগরিকরা বিমান থেকে বাংলাদেশে নেমে ইমিগ্রেশনে অবতরণ পত্রে বাংলাদেশে অবস্থানের যেসব ঠিকানা দিয়েছেন সেখানে তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে গোয়েন্দারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, বোমা বানানো, নাশকতা করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়াসহ নানা বিষয়ে এরা পারদর্শী। বাংলাদেশে জঙ্গি এবং আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাওয়া শিবিরের একটি অংশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশি জঙ্গিদের একটি অংশকে পাকিস্তানের একটি গ্রুপ অর্থ সহায়তা দিয়ে সক্রিয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে দুইটি গোয়েন্দা সংস্থা। গ্রুপটি জাল মুদ্রার ব্যবসা করে লভ্যাংশ দিচ্ছে জঙ্গিদের।
এসব অর্থ ব্যয় করে দেশে নাশকতার পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা। বিদেশি নাগরিক খুন, পুলিশ হত্যা এবং সরকারি নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করা পরিকল্পনার অংশ ছিল। এছাড়া কারাগারে আটক জঙ্গিদের আত্মীয়দের মাধ্যমে পাকিস্তানি ওইসব নাগরিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে জানা গেছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সমপ্রতি চার পাকিস্তানিকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেফতার হওয়া পাকিস্তানি নাগরিক হলো- ইদ্রিস আলী, মো. শাকিল, খলিলুর রহমান ও মো. ইকবাল। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত বেশকিছু বই উদ্ধার করা হয়। পাকিস্তানি নাগরিকদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা গেছে, জঙ্গিদের সহায়তা করার জন্যই তারা বাংলাদেশে এসেছেন। সন্দেহে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের আটক করতে মাঠে নেমেছে একাধিক সংস্থা।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, চার পাকিস্তানি নাগরিক ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসেছিল। তারা মাসে অন্তত ১৫ বার বাংলাদেশে আসে। সর্বশেষ দু’দিন আগে তারা দেশে এলেও প্রথম কবে বাংলাদেশে এসেছিল, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, দেশে বৈধভাবে পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছে ৮ হাজার ৯৪২ জন। অন্যদিকে অবৈধভাবে বসবাস করছেন বৈধ নাগরিকের প্রায় ৮ থেকে ১০ গুণ। ব্যবসা এবং ভ্রমণসহ নানা অজুহাতে তারা বাংলাদেশে আসেন।
গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্য মতে, পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছে জাল টাকা ও রুপির মেশিন। পাকিস্তান থেকে বিমানে করে আনা হচ্ছে জাল ভারতীয় রুপি এবং টাকা। মধ্যপ্রাচ্য থেকে চোরাচালান হয়ে আসছে সোনা। জাল রুপি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বাজারজাতকরণ হচ্ছে বাংলাদেশের রাজশাহী ও যশোরের সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসার মাধ্যমে। একইভাবে সোনা চোরাচালানেরও একটি বড় অংশ পাঠানো হচ্ছে ভারতে। এসব ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে জাল টাকা ও রুপি।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটওয়ারী বলেন, পাকিস্তানী নাগরিকদের ভ্রমণের নামে ঢাকায় ঘন ঘন আসার বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে

অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হলে জাতির জন্যবিস্তারিত পড়ুন

আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র

আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারবিস্তারিত পড়ুন

শুক্রাণু দান করা শতাধিক সন্তানকে সম্পদের সমান ভাগ দেবেন টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠাতা

দান করা শুক্রাণু থেকে যেসব সন্তানের জন্ম হয়েছে সেসব সন্তানকেওবিস্তারিত পড়ুন

  • জুলাইযোদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ, এসআই বরখাস্ত
  • ভুয়া ভিসা নিয়ে যেভাবে ঢাকা থেকে ইমিগ্রেশন পার হলেন একসঙ্গে ৩০ জন
  • একদিনে করোনাভাইরাসে গেল আরও দুজনের প্রাণ
  • বাংলাদেশিসহ সব বিদেশিদের শিক্ষা ভিসা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
  • জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি, জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ
  • ফের রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক, জেনে রাখুন করণীয়
  • মিরপুরে দম্পতিকে হত্যা, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত আটক
  • রংপুর সিটির মেয়র-কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ
  • চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র হামলা
  • বাংলাদেশে দেখা গেছে জিলহজ মাসের চাঁদ
  • ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে, বললেন তারেক রহমান
  • সীমান্তে উত্তেজনা: বাংলদেশের প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুশ-ইন অব্যাহত