বাংলাদেশ আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে
সিরিজের দ্বিতীয় টি২০ তে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ। জিততে হলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার নিজেদের রেকর্ডকে নতুন করে লিখতে হবে বাংলাদেশকে। সিরিজের শেষ টি২০তে বাংলাদেশের জিততে হলে প্রয়োজন ১৭০ রান।
টসে জিতে আবারো ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসটিকে সমান দুইভাগে ভাগ করা যায়। ইনিংসের প্রথমার্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ছিল অসাধারণ, বাংলাদেশের বোলিং ছিল গড়পরতার এবং ফিল্ডিং ছিল জঘণ্য। সব মিলিয়ে যা হওয়ার তাই হল। প্রথম দশ ওভারে ডি ভিলিয়ার্স আর ডি ককের ব্যাটে চড়ে বিনা উইকেটে ৯৫ রান তুলে ২০০ রানের দিকেই যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই পুরো দশ ওভারে মুস্তাফিজের একটি আনপ্লেয়েবল ডেলিভারিতে ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ তুলে দেয়া ছাড়া আর বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য আনন্দের আর কোন ঘটনা নেই। প্রচুর পরিমাণে মিসফিল্ডিং, ওভারথ্রো সাথে উইকেটের পিছনে নাসিরের পর পর দুই বলে দুইবার এবং সাকিবের বলে একবার মুশফিক বল ধরতে ব্যররথ হলে অতিরিক্ত ৮ রান আসে। বাংলাদেশকে দিকভ্রান্তই মনে হচ্ছিল।
তবে ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে যেন নতুন করে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ডি ভিলিয়ার্সের চেয়েও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা ডি কককে ফেরান আরাফাত সানি। পরের ওভারটি নাসিরের স্বপ্নের ওভারগুলোর একটি হয়ে থাকবে। প্রথমে তিনি ফেরান ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া ডুমিনি কে। পরের বলেই ফেরান ভয়ঙ্কর ডি ভিলিয়ার্সকে। ভিলিয়ার্সের আউটটি নিয়ে যদিও যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ওভারের শেষ বলেই আবার তাঁর বলে কট বিহাইন্ড হয়েছিলেন ডেভিড মিলার। তবে এক ওভারে পরপর দুইটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে আম্পায়ার আনিসুর রহমান মিলারকে নট আউট দিলেন।
কিন্তু এই ওভারের যেই চাপ সৃষ্টি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার উপর তা আঠারো ওভার পর্যন্ত ধরে রাখে বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১ থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪২ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এসময় ফিল্ডিং, কীপিং বোলিং সবই ছিল অসাধারন। চাপে পড়ে আগের ম্যাচের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ডু প্লেসিস মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে আউট হন।
তবে শেষ দুই ওভারে সাকিব এবং মুস্তাফিজের বল থেকে ৩২ রান তুলে নেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানেরা। এর মধ্যে সাকিবের ওভারেই আসে ১৯ রান। অথচ এর আগের ওভারেই সাকিব মাত্র ৩ রান দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন তাদের। রাইলি রুশো ৬ বলেই ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডেভিড মিলার করেন ২৮ বলে ৩০ রান। এছাড়া ডি ভিলিয়ার্স ৪০ এবং ডি কক ৪৪ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে নাসির হসেন ২৬ রানে দুই এবং আরাফাত সানি ৩১ রানে ১ উইকেট নেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন