বাংলাদেশ এশিয়া কাপ থেকে কী আশা করে?
রোমাঞ্চকর নানা ঘটনার মধ্যদিয়ে ২০১৫ সালটা শেষ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফর্মেন্সের পর ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছে তারা। বাংলাদেশের এই দলের উত্থানের শুরুটা আসলে ২০১১ বিশ্বকাপ থেকে। এরপর সমর্থকদের একের পর এক বিস্ময় জাগানিয়া পারফর্ম উপহার দিয়েছে টাইগাররা।
এবার নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে মাশরাফি-সাকিবদের দল। দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের নতুন সংস্করণ টি-২০ এশিয়া কাপ। নতুন সংস্করণের এই আসর থেকে কী আশা করছে বাংলাদেশ?
এশিয়ার কাপের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। আফসোসের ব্যাপার হলো দলে নেই বিস্ফোরক ওপেনার তামিম ইকবাল। পুরো টুর্নামেন্টেই তামিমকে মিস করবে সবাই। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্রথম কয়েকটি ম্যাচে তামিমের ব্যাটিং তাণ্ডব সে আফসোস আরো বাড়িয়েছে।
তামিমের জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। তবে ব্যাটিং অর্ডারের মূল দায়িত্ব পালন করবেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। ইনিংসের শেষ দিকে জ্বলে উঠতে পারেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আর বড় কোনো টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণ করার মিশন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ মিঠুনদের।
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্ট সবসময়ই ভালো পারফর্ম করেছে। বাংলাদেশের বোলিং শক্তিকে সম্প্রতি বহুগুণে শক্তিশালী করেছেন নতুন পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। কাঁধে ইনজুরিতে আক্রান্ত ‘কাটার’ মুস্তাফিজকে এশিয়াকাপে তরতাজা পেতে পিএসএলে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মুস্তাফিজের পাশাপাশি বোলিংয়ে গোলাবারুদ যোগাবেন তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন, ইলিয়াস সানি ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নিজে। পরিচিত কন্ডিশনে এই বোলিং ডিপার্টমেন্ট সব দলের জন্যই ভয়ংকর।
২০১২ আসরে অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের। পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হারের সেই আক্ষেপ আজও তাড়িয়ে বেড়ায় খেলোয়াড় সমর্থক থেকে শুরু করে সবাইকে। সেই আক্ষেপ ঘোঁচানোর সুযোগ এসেছে আরো একবার ঘরের মাঠে এশিয়াকাপ আয়োজনের মধ্যদিয়ে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের মিশন এশিয়া কাপ।
অনেক আশার মাঝে একটু হলেও শঙ্কা রয়েছে। ওয়ানডের সাফল্যের ধারাবাহিকতটা টি-২০তে ধরে রাখতে পারছেন না সাকিব-তামিমরা। দুই ফরম্যাটের পার্থক্যটা বেশ চাওড়া। বড় তিনটি দলের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টি-২০ সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে মাঠে নামার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-২ ড্র করে মাশরাফিরা।
তবে টি-২০’র সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স ভুলে যেতে চায় বাংলাদেশ। বরং আসন্ন এশিয়া কাপে ওয়ানডে ক্রিকেটের পারফর্মটাই টি-২০তে অনুবাদ করতে চায় তারা। আর সেই সঙ্গে টাইগারদের আরও চাওয়া-নতুন সংস্করণের এশিয়াকাপে প্রথমবারের মতো এবং নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ট্রফিটা উচিঁয়ে ধরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন