বাংলাদেশ কিছু পায়নি মোদির সফরে তা ঠিক নয়: এমাজউদ্দীন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে বাংলাদেশ একেবারে কিছু পায়নি কথাটা ঠিক না। তিনি বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য পাওনা আদায় করতে আমরা যদি ব্যর্থ হই, মোদিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এর জন্য দরকার জনগণের সমর্থনপুষ্ট স্ট্রং গভর্নমেন্ট।’
আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমাজউদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন। দেশ বাঁচাও-মানুষ বাঁচাও আন্দোলন নামে একটি সংগঠন এর আয়োজন করে।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, মনে পড়ে প্রবাহমান নদী তিতাসের ওপর ব্রিজ করে যখন ভারতের ভারী বিদ্যুতের সরঞ্জামাদি নেওয়া হয়, তখন একজন উপদেষ্টা (প্রধানমন্ত্রীর) বলেছিলেন এর জন্য ফি বা মাশুল নেওয়াটা হবে অভদ্রতা। এখন এ ধরনের ‘অভদ্রতার ব্যক্তিরা’ যদি নতুনভাবে ২২টি চুক্তির জন্য আলোচনায় অংশ নেন, অথবা চুক্তি-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা প্রতিনিধিত্ব না করেন, তাতে কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, ‘যে ২২টি চুক্তি হলো এগুলো থেকে যদি ফল পেতে হয়, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে যাঁরা কথা বলবেন বা দাবি-দাওয়া তুলবেন, তাঁদের সফলতা ও দক্ষতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’
সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তিগুলো জাতীয় সংসদে এনে জনগণের কাছে তুলে ধরতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান এমাজউদ্দীন। তিনি বলেন, এটা সংবিধানের দাবি।
এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলো না। তিতাসকে প্রবাহিত করার কথাও সরকার তুলল না। সীমান্ত হত্যা নিয়ে সরকার ক্ষুদ্রতম দাবিও তোলেননি। তিন বিঘা করিডোর সম্পর্কে একটি কথাও হয়নি। এখন সীমান্ত চুক্তি কীভাবে বাস্তবায়ন হয় তা দেখার বিষয়। আমরা শুধু আশ্বাসের ওপর আছি।’
‘ভারতে দেওয়ার বেলায় আমরা হাতেম তাই’-এ মন্তব্য করে সাবেক উপাচার্য বলেন, মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর দেওয়া হচ্ছে। ভারত, বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে চার দেশের একটি বাড়ি হচ্ছে। বলা হচ্ছে সবাই সব জায়গায় যেতে পারবে। তিনি বলেন, আমার উঠোন একজনের জন্য খুলে দিলাম, কিন্তু অন্যদের উঠোনে আমি পা দিতে পারব তো? ’
খালেদা জিয়াকে সাক্ষাৎ দেওয়া মোদির সফরের ‘একটি ভালো কাজ’ বলে মন্তব্য করেন এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘ভালো কাজ বলছি এ কারণে, বাংলাদেশে কংগ্রেসের উত্তরাধিকার যেন আওয়ামী লীগ। মনে হলো নাড়ির সম্পর্ক। বাংলাদেশের জন্মক্ষণ থেকে শুরু হয়েছে এটা। এটা স্পষ্ট যে, বর্তমান সরকার চাচ্ছিল খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাতে মোদির দেখা না হয়। আর কিছু না হোক, মোদির সফরে এ সম্পর্কটা ছিন্ন হয়েছে কি না জানি না, কিন্তু শক্তিশালী আর নেই।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অব. রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপির নেতা শাহ মো. আবু জাফর, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আবু নাছের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন কে এম রকিবুল ইসলাম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন