সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত বলেই ম্যাচটি ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের মাত্রা বেশি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালের কথা মনে আছে এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। মনে আছে টি-২০ বিশ্বকাপের কথাও। তাই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি ঘিরে আগ্রহ বেশিই থাকছে।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাংলাদেশ-ভারত সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে পড়ার টেবিল এবং অফিস-আদালত সর্বত্রই ম্যাচটি ঘিরে চলছে তুমুল আলোচনা।

টাইগারদের জয়ের পক্ষে যুক্তি খণ্ডাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সবাই অধীর অপেক্ষায় বসে আছেন ১৫ জুনের এজবাস্টনের ঐতিহাসিক ম্যাচটি দেখার। ম্যাচের ফল নিয়ে আগাম বাজিও ধরছেন কেউ কেউ।

১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলছে বাংলাদেশ। এটি প্রথম আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল। এ নিয়ে উত্তেজনায় কাঁপছে গোটা দেশ। মাশরাফিদের সাফল্যের জন্য হাত উঁচিয়ে প্রার্থনাও করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৫ রান করে হেরে যাওয়ার পরও স্বপ্ন দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। স্বপ্ন দেখানোর কারিগর মাশরাফিরা নিউজিল্যান্ডকে ছিটকে ফেলে সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। ব্ল্যাক ক্যাপসদের ২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে একপর্যায়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসেছিলেন টাইগাররা। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২২৪ রান যোগ করেন অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলা সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুজনই সেঞ্চুরি করেন ম্যাচে।

দুই সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয়ের পর ১৬ কোটি লোকের বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখছে বড় কিছুর। সেই স্বপ্ন দিগন্ত ছাড়িয়ে ফাইনালে গিয়ে ঠেকেছে। যদি ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে স্বাধীনতার পর এর চেয়ে বড় উৎসবের মঞ্চ আর কখনই পাবে না বাঙালি জাতি।