বাংলা একাডেমি মহাপরিচালকের স্ট্যাটাসে ২৭ ভুল !
অমর একুশে বইমেলায় পরবর্তী দুই বছরের জন্য শ্রাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলা একাডেমি। এ ঘটনায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এর জবাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তিনি। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তার ফেসবুকে লেখা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।
কিন্তু যে বাংলা একাডেমি বিশুদ্ধ বাংলা ভাষার চর্চা ও পরিচর্যা করে আসছে, খোদ সেই প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালকের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বানানসহ খুব সাধারণ ২৭টি ভুল পাওয়া গেছে।
ব্র্যাকেটে শুদ্ধ বানানসহ ড. শামসুজ্জামান খানের ভুলে ভরা স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
‘আত্ম প্রচার করতে চাইনি, কিন্ত (কিন্তু) যে মিথ্যাচার করা হচ্ছ (হচ্ছে) তাতে কিছু কথা বলা জরুরী (জরুরি) হয়ে পড়েছে । তা নাহলে (না হলে) ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে তরুনদের (তরুণদের) কাছে । এখনকার তরুনরা (তরুণরা) এসব ইতিহাস জানেনা (জানে না) । তরুন (তরুণ) সাংবাদিকরাও তাই । তাই তারা চতুর ফন্দীবাজ (ফন্দিবাজ) ও যেকোনও (যেকোনো) ভাবে সংবাদপত্রের পাতায় থাকার কৌশল করছে , এবং প্রতি বছরই এই নাটক করে এমন এক প্রকাশক নামধারীর পাল্লায় পড়েছ (পড়েছে) । সে নাকি মুক্তবুদ্ধির পক্ষের লোক । যে বইকে সে মুক্তবুদ্ধির বই বলে গত বছর রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রচার করে সে বইটি আসলে মুক্তবুদ্ধিচর্চা ধ্বংস করার বই । এ বইয়ের বিরোধিতা করে আমি নাকি মুক্তবুদ্ধিচর্চার ওপর (ওপর শব্দটি বাংলা একাডেমির বানান অভিধানে নেই) আঘাত হানছি । এত বড় মিথ্যাচার আর হয়না (হয় না) । সত্য হল (হলো) অমি (আমি) বংশ পরম্পরার মুক্তবুদ্ধিচর্চার লোক । সে ঐতিহাসিক দলিলপত্র আমার অফিসে এলে দেখাতে পারি । প্রপিতামহ , পিতামহ পিতা (পিতামহ,পিতা) সবাই মক্তবুদ্ধির (মুক্তবুদ্ধির) অনুসারী ছিলেন ।
যাহোক , সে ইতিহাস বিস্তারে লিখবো পরে । এখন বর্তমানে ফিরি । ১৯৭৫ সালের পর লেখক- সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে আমিই প্রথম মক্তবুদ্ধির (মুক্তবুদ্ধির) চর্চার জন্য স্বৈর সামরিক শাসন আমলে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী NSI কর্তৃক (কর্তৃক শব্দটি সাধুরীতি) ধৃত (সাধুরীতি) হই । আমার দোষ ছিল বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের একুশের আলোচনায় বিষয় দিয়েছিলাম : মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও শিখা আন্দোলন (১৯২৬ ) । স্মর্তব্য যে এরাই বাঙালি মুসলমানদের মধ্য (মধ্যে) প্রথম প্রগতিশীল ;এদের শ্লোগান ছিল : বুদ্ধির মুক্তি, ‘Imancipation (Emancipation) of Intellect ‘. এদের নেতা কাজী আব্দুল ওদুদকে ঢাকা ছেড়ে কলকাতার (কলকাতায়) চলে যেত (যেতে) বাধ্য করা হয় । আমাকে পূর্বোক্ত গোয়েন্দা সংস্থাও (সংস্থা) দিনভর মানসিক নির্যাতনের পর চট্টগ্রাম বদলি করা হয় । আমাকে এই বিপদে ফেলার মূলে ছিলেন জিয়ার মন্ত্রী আকবর কবীর {খুশি কবীরের পিতা ; তাই গতকাল ওদের সঙ্গ (সঙ্গে) তার যোগদান খুব তাৎপর্যপূণ (তাৎপর্যপূর্ণ)} খোন্দকার আব্দুল হামিদ ,মনিরউদ্দিন ইউসুফ ও বাংলা একাডেমির তৎকালীন ডিজি আশরাফ সিদ্দিকী । হায় ! এখন মুক্তবুদ্ধিচর্চার নতুন ধান্দাবাজদের এই কুমভিরাশ্রারু (কুম্ভিরাশ্রু) দেখে মনে হয় ধরণী দ্বিধা হও।
ড. শামসুজ্জামান খানের খুব সাধারণ ২৭টি ভুল দেখে ওই স্ট্যাটাসটির নিচে ফেসবুক বন্ধুদের মন্তব্যের ঝড় বইছে! কেউ লিখছেন, ‘লজ্জা! লজ্জা! এত্তো বানান ভুল ক্যান?’। আবার কেউ লিখেছেন,’বয়স হয়ে থাকলে উনার উচিৎ মহাপরিচালক পদ থেকে সরে যাওয়া। এটা না বুঝার অবকাশ নেহি হ্যায়।’ এছাড়া, ‘স্যার ভেরি দুর্বল ইন বেংঙ্গলী।’ সহ অনেকেই মন্তব্যের মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন