শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বাংলা নববর্ষে ইলিশ বর্জন করলেন কেন কুমিল্লার ডিসি??

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আসছে বাঙালির চিরায়ত উৎসব পহেলা বৈশাখ। তবে বাংলা নববর্ষের এ সময়টি হচ্ছে রূপালী ইলিশের প্রজনন মওসুম। তাই এখন ইলিশ খাওয়া মানেই হচ্ছে প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত করা। তাই এ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক নিয়েছেন সময়োপযোগী উদ্যোগ।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে পান্তাভাতের সঙ্গে রাখা হচ্ছে না রূপালি ইলিশ। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে থাকছে শুধুমাত্র পান্তা-ভর্তা। এমনটাই জানালেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।

শুধু তাই নয়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজ একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নববর্ষের আমন্ত্রণও জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘শুভ নববর্ষ ১৪২৩!” পহেলা বৈশাখের অতিথি আপ্যায়নে ইলিশ বর্জন করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন!

আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে অন্য সকল প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সুর সংগীতে বরণ করে নেয়া হবে বাংলা নতুন বছরকে। নববর্ষকে বরণ করে নিতে থাকবে আনন্দ শোভাযাত্রা আর মেলার আয়োজন। বর্ষবরণের এই আয়োজনে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।’

জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, ‘এটি ইলিশের প্রজনন মওসুম। অথচ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার সংস্কৃতির কারণে এমৌসুমেই ইলিশ ধরাহয় ব্যাপক হারে। তাই এবার পহেলা বৈশাখে আমরা প্রতীকীভাবে ইলিশ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পান্তা-ইলিশ খেতে কাউকে নিষেধ করছি না, নিরুৎসাহিত করছি। অন্তত যদি এই একটি দিন ইলিশ বর্জন করতে পারি তাহলে দেশে ইলিশ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত, ইদানিং অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন নববর্ষে ইলিশ মাছ খাওয়া কতটা জরুরি? আর বাংলার ঐতিহহ্যের সাথে তার সম্পর্কই বা কতটা? গণমাধ্যমে এমন প্রশ্ন এখন আসছে প্রতিনিয়ত। বিশেষত, বাংলা নববর্ষের এ সময়টি যখন হয়ে পড়েছে রূপালী ইলিশের প্রজনন মওসুম। নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্যাপকহারে ইলিশ ধরা হয়। এতে হঠাৎ করেই ইলিশের অতিরিক্ত চাহিদা বেড়ে যায়। বাজারেও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সরবরাহ আর চাহিদার সঙ্গে অসামঞ্জস্য হওয়ার কারণে ইলিশের দাম বেড়ে যায় অকল্পনীয় ভাবে। যে কারণে অনেকেই চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে ইলিশ সংগ্রহ করতে থাকেন ফ্রিজে। আর জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা পনেরো-বিশ দিন আগে থেকে মজুদ করতে থাকে হিমাগারে। কেউ কেউ ফরমালিন দিয়ে মাছ তাজা রাখার কৌশল বেছে নেন।

প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এই ক্রাইসিস ও মরণপথ তৈরির প্রয়োজন আছে কি? এখনই তা বন্ধ করতে না পারলে কয়েক বছরের মধ্যে পহেলা বৈশাখের এই পান্তা ইলিশ সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়বে গ্রামাঞ্চলেও। ফলে ইলিশ সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হবে ইলিশের বাজারে। ইলিশের প্রজনন মওসুম হওয়ায় পহেলা বৈশাখে ইলিশ বর্জন করে মাছ বাঁচানোর আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বেশ ভালোভাবেই চলছে এমন প্রচারণা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায়  ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।  মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন

চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন

টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী, অতঃপর…

কুমিল্লায় ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলেবিস্তারিত পড়ুন

  • কুমিল্লায় ইয়াবাসহ জাসদের কেন্দ্রীয় নেত্রী আটক
  • কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৩ জন নিহত
  • পিস্তলটি ১০ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন !
  • কুমিল্লায় বাজারে আগুন, তালাবদ্ধ দোকানে শিশুর মৃত্যু
  • কুমিল্লায় চাচিকে নিয়ে ভাতিজা ‘উধাও’ অতঃপর….
  • কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণ: গ্রেফতার ৪
  • কুসিক মেয়র সাক্কুকে শপথ পড়ালেন প্রধানমন্ত্রী
  • কুমিল্লায় ডিবি পুলিশের অভিযানে ৮ শত বোতল ফেন্সিডিল ৫ শত ইয়াবাসহ ২ জন আটক
  • স্ত্রীর সাথে কলহে মেয়েকে দত্তক, দুই মাস পর ফিরলো মায়ের কোলে
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু, তিন ছাত্রী অজ্ঞান
  • কুসিকের সদ্য নির্বাচিত মেয়র সাক্কুকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ
  • কুমিল্লায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা