রবিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ঘটনা যেন কিছুতেই ভুলতে পারছে না ইংলিশরা। বিনয়ী ও শান্তশিষ্ট মানুষ বাটলার। বাংলাদেশে আসার পর থেকেই তার মুখে সবসময় হাসি লেগে ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে নানা প্রশংসা শোনা গেছে তার মুখে।

কিন্তু রবিবারের অনাকাঙ্ক্ষিত সেই ঘটনার পর থেকে তার মুড অফ।বাটলার পাল্টে গেছেন। তিনি আর বাংলাদেশকে বন্ধু ভাবতে রাজি নন।
রবিবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসলেন। তাকে চেনাই যাচ্ছিলো না। এক সেই বাটলার? চিনতে কষ্টই হচ্ছিলো। মুখ থেকে সেই লাজুক আর বিনয়ের হাসি উধাও। তিনি বিরক্ত, হতাশ!

সোমবার বিকালে বিমানে চট্টগ্রাম পৌঁছে বাস থেকে নেমে যখন হোটেল রেডিসন ব্লুতে উঠছিলেন তখনও বাটলারের সেই বিনয়ী চেহারা পুরোপুরি খুঁজে পাওয়া গেল না।

সকাল থেকে আজ চট্টগ্রামে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।উইকেটগুলো কাভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তবে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও সকাল সাড়ে ৯ থেকে অনুশীলনে নেমে পড়ে ইংলিশরা। খুব ‘সিরিয়াস’ অনুশীলন। সিরিজ ১-১ এ সমতা।বুধবারের ম্যাচটা যে ফাইনাল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে আসার পর এতোটা ‘সিরিয়াস’ তাদের দেখা যায়নি।

বড় ম্যাচের আগে স্বাভাবিক থাকতে হয়। নির্ভার থাকতে হয়। ব্যাপারটা পেশাদার বাটলারদের ভালো করে জানা। তাই নিজেদের স্বাভাবিকই রাখছেন ইংলিশরা। সকালে যখন মাঠে প্রবেশ করলেন বাটলাররা, তখন অনেকটাই ফুরফুরে মনে হলো।
অনেকটা স্বাভাবিক মুডেই অনুশীলন করেন তারা। কিন্তু এটা তো বাইরের দৃশ্য। ভিতরে ভিতরে যে আগুণ জ্বলছে, সেটা তাদের মুখের ভাষাই বলে দিচ্ছিলো।

বুধবার সিরিজ জিতে সেই আগুণ নিভাতে চায় ইংলিশরা।বাটলার তো বলেই রেখেছেন,‘ রবিবার মাঠে একটু বেশি কিছুই হয়েছিল। ঠিক আছে, আমরা শেষ ম্যাচে পারফরম্যান্স দিয়েই তার জবাব দিব।’

বুধবার চট্ট্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচটি। তিন ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতায় রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ২১ রানে হারার পর দ্বিতীয় ওয়ানডে ৩৪ রানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচটা জিতলে দেশের মাটিতে টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাবে বাংলাদেশ।