বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটির ছবি ফেসবুকে দিতে বললেন বিচারক
শিশু রাফিয়া আক্তার। বয়স আট বছর। সে বাকপ্রতিবন্ধী। নিজের নামটিই শুধু লিখতে পারে সে। বাবা কিংবা মায়ের নাম জানে না। নিজের বাড়ি কোথায় তাও জানে না সে। ছয় মাস আগে পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে। এরপর থেকে সে হেফাজতেই আছে।
আজ সোমবার ঢাকার কিশোর আদালতের রুহুল আমিনের এজলাসে শিশু রাফিয়াকে হাজির করা হয়। এর আগেও তাকে একই আদালতে হাজির করা হয়েছে। কিন্তু এই হারিয়ে যাওয়া শিশুর বাবা-মায়ের ঠিকানার কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই বিচারক পরামর্শ দিলেন, বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিতে।
রাফিয়াকে রাখা হয়েছে গাজীপুরের কিশোরী উন্নয়নকেন্দ্রে। সে আসামি হিসেবে নয়, সেখানে তাকে রাখা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া পথশিশু হিসেবে।
আজ শুধু রাফিয়া নয়, অনেক পথহারা শিশুকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা গাজীপুরের কিশোরী উন্নয়নকেন্দ্রে ও শেখ রাসেল উন্নয়নকেন্দ্রে থাকে। তাদের নিরাপদে রাখার জন্য আদালতে হাজির করা হয়।
এই পথহারা শিশুদের পক্ষে ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী ও চিলড্রেন লিগ্যাল এইডের কর্ণধার ফারুক আহম্মেদ কাজ করেন।
আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ জানান, শিশু রাফিয়াকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের কাছে বাকপ্রতিবন্ধীদের শিক্ষককে হাজির করার জন্য আবেদন করি। কারণ, রাফিয়া কথা বলতে পারে না। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করলে বাকপ্রতিবন্ধীদের শিক্ষককে আদালতে হাজির করি। কিন্তু রাফিয়া ওই শিক্ষকের কাছেও বাবা-মা ও বাড়িঘরের ঠিকানা দিতে পারেনি।
আইনজীবী আরো বলেন, ‘বিচারক রুহুল আমিন আমাকে বলেন, এদের বাড়িঘরের যেহেতু ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে না, তাই এদের ছবি তুলে ফেসবুকে দেন। তারপর আমি তাদের ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি। এখন যদি তাদের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে আদালত শিশুদেরকে বাবা-মায়ের জিম্মায় দিয়ে দেবেন।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন