বাজারগোপালপুরের মানুষের মধ্যে আতংক “কললিস্টে নাম উঠেছে দেখা কর”
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ আট দিন ধরে ঝিনাইদহের এক জুয়ালারি ব্যবসায়ীর নিখোঁজ থাকা নিয়ে বেপরোয়া অর্থ বানিজ্য চলছে। পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার কিছু ব্যক্তি এই বানিজ্যে লিপ্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। বিপুল নামে ওই এক ব্যক্তি “কল লিষ্টে নাম পাওয়া গেছে” এমন ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছে ফোন দিয়ে বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই উত্তম কুমারের সাথে দেখা করতে বলছে। জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর গ্রামের গোউর পালের ছেলে বিজয় কুমার পাল গত ৪ মে (বুধবার) থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বিজয় নিখোঁজের ঘটনাকে পুজি করে বিপুল এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট মোবাইলে ফোন দিয়ে অর্থ দাবী করছে। বিষয়টি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমানকে অবহিত করা হয়েছে।
তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কললিস্টের কোন তালিকা বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পে দেওয়া হয়নি। ওই ক্যাম্পের আইসি বা টু-আইসিকে এ বিষয়ে কোন নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। এলাকাবাসির অভিযোগ বিজয় কুমারের ফোনে কল লিস্টে নাম উঠেছে এমন কথা বলে বাজার গোপালপুরের রুনু, বিশ্বজিৎ কুমার, হাসমত, শামিম, প্রশান্ত কুমার, মনজুর আলম, আশরাফুল, কামতা গ্রামের রবিউল ও জামিরুলসহ বিভিন্ন লোকের কাছে ফোন করেছে বিপুল। এর মধ্যে রবিউল, সার ব্যবসায়ী জামিরুল, বড়া ভাজা বিক্রেতা হাসমত ও ভাজা বিক্রেতা শামিমের কাছ থেকে টাকাও আদায় করা হয়েছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসিকে কাছে ঝিনাইদহ সদরের সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কানজিলাল জানিয়েছেন, কল লিষ্ট কারো কাছে সরবরাহ করা হয়নি। তাই লিস্ট ধরে ডাকার কারো সুযোগ নেই।
এলাকাবাসি অভিযোগ বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই উত্তম কুমারের সাথে সখ্যতা থাকার সুবাদে বিপুল এই অর্থ বানিজ্যে সুযোগ পাচ্ছে। তবে অন্য একটি সুত্র জানায় ওই ক্যাম্পের আইসি মোতালেব হোসেন ও টু-আইসি উেত্তম কুমারের ছত্রছায়ায় বিপুল এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য গত ৪ মে বিকালে জুয়েলারি ব্যবসায়ী বিজয় চোরকোল বাজরে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেন নি বিজয়। এ নিয়ে পরদিন ৫ মে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করা হয়। যার নং ১৯৭। বিজয়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিপুলের ০১৭৬২-৩৪৬৫৩৪ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই উত্তম কুমার বুধবার জানান, আমরা লোক চিনি না বলে বিপুলকে দিয়ে ফোন দিয়েছি।
তবে একাধিকবার কাউকে ফোন দেওয়া হয়নি। যদি একাধিকবার ফোন দিয়ে কাউকে হয়রানী করার ঘটনা ঘটে থাকে তবে তা আমরা তদন্ত করে দিখছি। তিনি স্বীকার করেন তাদের কাছে কোন কল লিস্ট নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন