বাতিল হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন-২০১৬ পাস হলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ ধারা বাদ দেওয়া হবে।
পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো স্পষ্ট করা হবে। ফলে ৫৭ ধারা নিয়ে যে শঙ্কা তা আর থাকবে না।
আইনটির খসড়া নিয়ে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ আইনের ৪৩টি ধারা আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। কিছু কিছু জায়গা ছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যে খসড়া প্রস্তুত করেছে তাতে আমরা সম্মতি দিয়েছি এবং সেভাবেই তারা ভেটিংয়ে পাঠাবে। কিছু কিছু জায়গা সংশোধন করা হবে। কিছুদিন আগেও এ তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা ছিল, সমালোচনা, আপত্তি ছিল। আমার মনে হয়, সেসব আলোচনা, দুশ্চিন্তা, শঙ্কা দূর হবে।
মন্ত্রী বলেন, আইসিটি সেক্টরকে যেহেতু আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, সেহেতু কিছু কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব দেবেন। যে কারণে গুরুত্ব দিচ্ছি- বিশ্ব পরিস্থিতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সাইবার ক্রাইমই সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমাদের পেনাল কোডে যে সব অপরাধ হয় ডিজিটাল মাধ্যমেও সে ধরণের অপরাধ করা যায়। সাইবার ক্রাইম হত্যা ও ধর্ষণের চেয়েও মারাত্মক, যোগ করেন মন্ত্রী। সেটাকে অপরাধ বিবেচনা করে তার শাস্তির ব্যবস্থা এই আইনে রয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছর রাখা হয়েছে। অপরাধ বিবেচনায় সর্বনিম্ন সাজাও রাখা হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন সাজা কত রাখা হয়েছে তা নির্ধারিত হয়নি।
আনিসুল হক বলেন, বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ আইনটি করার চেষ্টা করছি। আমার মনে হয় আরেকবার আলাপ আলোচনা করতে হবে। তার কারণ হচ্ছে যেখানে যেখানে পরিবর্তনের কথা বলেছি, সেগুলি আবার দেখা হবে এবং চুড়ান্তভাবে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে দেখা হবে।
সাংবাদিকদের ওপর অবিচার হবে এমন কোনো আইন অন্তত শেখ হাসিনার সরকারের সময় হবে না। আপনাদের দৃষ্টি বিবেচনায় নিয়ে এ আইনের মধ্যে যা করার করা হবে। ৫৭ ধারা নিয়ে যে সংশয় ছিল তা আর থাকবে না। বিদ্যমান আইনের সঙ্গে যেনো কোনো সংঘর্ষ না থাকে তাও সর্বশেষ এ আইনে দেখা হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সমসাময়িক বিশ্বে সাইবার অপরাধ সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত। অনলাইন এবং অফলাইন অপরাধের মধ্যে বিরাট একটা ফারাক রয়েছে। অনলাইনে একটি অপরাধ হলে তার প্রভাব অনেক বেশি প্রচারও বেশি। অফ লাইনে সেটা কম। অনলাইনে যে পরিবার বা রাষ্ট্রীয় জীবনে যে ঝুঁকি তা প্রত্যেক রাষ্ট্র অনুভব করছে। এখন একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার জন্য অ্যাটোম বোমা হামলার প্রয়োজন নেই। সাইবার আক্রমণ করে পুরো একটি রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করা সম্ভব-সেটা অর্থনৈতিকভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে। সে কারণেই এই আইন করা হচ্ছে।
বৈঠকে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকসহ দুই মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন