বাপ-দাদার দেশে এসেছি নায়িকা হয়ে এটাই সবচেয়ে খুশির খবর : শ্রাবন্তী
‘নিজের বাপ-দাদার দেশে এসেছি নায়িকা হয়ে এটাই সবচেয়ে খুশির খবর। বরিশালে দাদার বাড়িটা দেখে আসতে পারলে আরো ভালো লাগত। পরেরবার শুটিংয়ে যখন আসব, তখন অবশ্যই সেখানে যাব। ঢাকার ইলিশ খাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল, রাতে সেটা খেয়েছি। এই ইলিশ না খেলে ঢাকায় আসাটা অপূর্ণ থেকে যেত।’ সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের অনুভূতি জানান কলকাতার নায়িকা শ্রাবন্তী।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ‘শিকারী’ ছবির মহরতে অংশ নিতে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসেন কলকাতার নায়িকা শ্রাবন্তী। যৌথ প্রযোজনার এই ছবিতে তিনি নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের জাকির হোসেন সীমান্ত ও ভারতের জয়দেব মুখার্জির যৌথ পরিচালনায় ‘শিকারী’তে আরো অভিনয় করবেন সুব্রত, মনজুরুল আলম, কলকাতার সব্যসাচী চক্রবর্তী, রুদ্র প্রতাপ লিলি চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত, খরাজ মুখার্জি ও রাহুল দেব রয়। ছবিটির কাহিনী লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু ও কলকাতার পেলে চ্যাটার্জি। কলকাতায় এর দৃশ্যধারণ শুরু হবে আগামী ১৪ মার্চ। ‘শিকারী’র অনলাইন ও ডিজিটাল কন্টেন্ট পার্টনার লাইভ টেকনোলজি।
ছবির মহরত শেষে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নায়িকা শ্রাবন্তী।
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন বাবা-দাদার বাড়ি বরিশালে, শুটিংয়ের ফাঁকে সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে কি?
শ্রাবন্তী : আসলে এখানে আমাদের কেউ থাকে না, যে কারণে আসাও হয়নি। কিন্তু বাবা-মায়ের কাছে অনেক গল্প শুনেছি। যে কারণে আমার মাঝে একটা অনুভূতি কাজ করে। এটাকে নিজের দেশ মনে হয়। যদিও আমার জন্মের আগেই তারা এই দেশ থেকে ভারত চলে যান। এবার যেহেতু মাত্র একদিনের জন্য ঢাকায় এসেছি, তাই বরিশাল যাওয়া হয়নি। তবে আগামী মাসে যখন ছবির শুটিং করতে আসব, তখন অবশ্যই আমি বরিশাল যাব। পরিচিত বা আত্মীয় কেউ আছে কি না সেই বিষয়েও জেনে আসব এবং তাঁদের সঙ্গে দেখা করব।
প্রশ্ন : এই একদিনের সফর কেমন লাগছে?
শ্রাবন্তী : দারুণ, আমি বাবা-মায়ের কাছে শুনেছিলাম যে এখানকার মানুষ অনেক ভালো, অতিথিপরায়ণ। এসে দেখি তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো। দেখামাত্রই আমাকে সবাই আপন করে নিয়েছে। কাজের প্রয়োজনে অনেক দেশেই যেতে হয় কিন্তু এমন ভালোবাসা এর আগে কোথাও পাইনি। শুধু ইলিশ মাছটা খেতে একটু দেরি হয়েছে। আমি ইলিশ খেতে চাই শুনে বাংলাদেশের প্রযোজক আজিজ ভাই আমার জন্য বাসা থেকে ইলিশ রান্না করে এনেছিলেন। দারুণ স্বাদ পেয়েছি খেয়ে।
প্রশ্ন : আপনি মহরতে বলছিলেন নিজের রান্না খেতে ভালো লাগে, রান্না করার সময় পান?
শ্রাবন্তী : কাজের প্রয়োজনে সব সময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই রান্না করার সময় ঠিক পাই না। কিন্তু যতটা সময় পাই নিজেই রান্না করি, সেটা করতে ভালো লাগে। আবার পারিবারিক অনুষ্ঠানে বা বিশেষ দিনে আমি আত্মীয়, বন্ধুদের নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াই, এটা আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন : কলতাকায় আপনি জনপ্রিয়, বাংলাদশের দর্শকও আপনাকে পছন্দ করে। এই ছবিতে যদি আপনাকে দর্শক গ্রহণ করে তাহলে আপনি বাংলাদেশে কি আরো কাজ করবেন?
শ্রাবন্তী : আসলে একটা মানুষ যেখানে বড় হয়, সেই জায়গার প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা থাকে। আমারও কলকাতার প্রতি আলাদা একটা টান আছে। আবার আমার বাবা-মা বাংলাদেশের ছিলেন সে জন্য এটাকেও নিজের দেশ মনে হয়। তারপরও কলকাতা ছেড়ে এখানে স্থায়ী হওয়া সম্ভব নয়। তবে যৌথ প্রযোজনা ছাড়াও যে কোনো ছবির বিষয়ে যদি কেউ আমাকে নিয়ে কাজ করতে চান, আমি কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন : কলকাতায় চলচ্চিত্রের বাজারের অবস্থা তো ভালো নয়, যৌথ প্রযোজনার ছবি কি ভালো অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে?
শ্রাবন্তী : যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের কারণে বাজার ভালো হবে কি না জানি না। তবে একটা বিষয় অনেক সহজ যে দুই দেশ মিলে যদি একটি কাজ করে, তবে দুজনেরই টাকা খরচ কম হবে। মানে কম টাকায় ভালো একটা ছবি হবে। আর সেটা যদি দুই দেশেই চালানো যায়, তবে দুই দেশ থেকেই টাকা উঠে আসবে। এতে করে বাংলা চলচ্চিত্রের বাজারটা বড় হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন