‘বাবা, তোমার বাবা কারও কাছে মাথা নত করেনি’
কারাগারে শেষ সাক্ষাতে বিদায়ের আগ মুহূর্তে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার ছেলেমেয়েদের বলেছেন, স্মরণে রাখিও ৬ ফুট ২ ইঞ্চি তোমার বাবা, কারও কাছে মাথা নত করেনি। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামে রাউজানের মধ্যগহিরায় গ্রামের বাড়ি বাইতুল বিল্লালে সালাহউদ্দিন কাদেরের লাশ দাফনের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে হুম্মাম কাদের বলেন, বলা হচ্ছে- বাবা প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। তাকে মানুষ বাংলার বাঘ হিসেবে চিনে। তিনি কখনও প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। গতরাতে আমি যখন বাবার সঙ্গে দেখা করেছি তখন বাবা বলেছেন, ৬ ফুট ২ ইঞ্চি তোমার বাবা, কারও কাছে মাথা নত করেনি। তিনি বলেন, অবৈধ রায়ে বাবাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
কিছুক্ষণ আগে আমরা তার দাফন সম্পন্ন করেছি। আমরা নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করছি। দেশের এখন এমন পরিস্থিতি অনেক রাজনীতিবিদ খুন-গুম হচ্ছেন। অনেকে আপনজনের মরদেহ খুঁজে পাচ্ছেন না। আমরা ভাগ্যবান যে সম্মানের সঙ্গে বাবাকে দাফন করতে পেরেছি। হুম্মাম কাদের বলেন, বাবা চট্টগ্রামের সিংহপুরুষ। বিএনপির রাজনীতিতে অন্যরকম অবস্থান তৈরি করেছিলেন আমার বাবা। তাই সরকার তাকে ভয় পেত।
ইংরেজিতে লিগেসি বলে যা আছে তা টিকে থাকবে। এ হত্যার বিচার একদিন না একদিন হবে। চট্টগ্রামের মানুষ এ রায় কোনোদিন মেনে নেবে না। হুম্মাম কাদের বলেন, একজন বেকসুর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যখন সময় আসবে তখন দেশের মানুষ অবশ্যই একদিন ন্যায়বিচারের ডাক দিবে। হুম্মাম কাদের বলেন, আমরা বাবার লাশ নিজেরা গোসল করিয়ে দাফন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার তা করতে দেয়নি।
একজন মৃত মানুষকে নিয়েও সরকার রাজনীতি করেছে। সালাহউদ্দিন কাদেরের ছোট ভাই জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে আমার ভাই বলেছেন- আমি যদি মার্সি (ক্ষমা) চাই, তবে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে চাইবো, কোনো বান্দার কাছে নয়। সম্মেলনে নেজামে ইসলামী পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান চৌধুরীসহ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীবিস্তারিত পড়ুন
হাইকোর্টে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হাইকোর্ট বিভাগে ১২ জন বিচারপতিকে আপাতত প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকা গ্রাফিতি হেঁটে দেখলেন ড. ইউনূস
জুলাই ও আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়বিস্তারিত পড়ুন