রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বিএনপির নতুন নাটক জয়-সাফাদির বৈঠক

ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পাটির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বৈঠকের খবরকে বিএনপির ‘সাজানো নাটক’ দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী আটকের পর সরকার উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে এ নাটক সাজানো হয়েছে অভিযোগ করেন স্থানীয় নেতারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতা কালের কন্ঠকে বলেন সাক্ষাৎকারটি আমরা দেখেছি। এ সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিএনপির প্রবাসী এক কর্মি জ্যাকব মিল্টন। সাক্ষাৎকারটিতে মিল্টন অনেকটা ইচ্ছা করেই সাফাদিকে প্রশ্ন করেন, এর আগে আপনার সঙ্গে বাংলাদেশের কারও সাক্ষাৎ হয়েছে কি না? ‘সাফাদি জবাবে বলেছেন, হয়েছে। তার এ ধরনের প্রশ্নে বোঝা যায় এটি সাজানো’। লন্ডন থেকে এ সাক্ষাৎকারটির মূল পরিকল্পনা করা হয়েছে অভিযোগ করেন নেতারা। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তাঁর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যা ও অপহরণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আবার নতুন এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সাজানো একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে বিএনপির কতিপয় চিহ্নিত ব্যক্তি জয়ের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।

গত দু’দিনে একটি ভূয়া সুত্র বা সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় সাফাদির সঙ্গে জয়ের বৈঠক সংক্রান্ত খবর বেরিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির কতিপয় চিহ্নিত ব্যক্তি যোগসাজস করে পরিকল্পিতভাবে মেন্দি এন সাফাদির মুখ দিয়ে জয়ের নাম প্রকাশ করানো হয়। ইউটিউবে আপলোড করা এ সাক্ষাৎকারটির ধরন ও দৃশ্যধারন দেখেই বোঝা যায় যে এটা পূর্বপরিকল্পিত। সাংবাদিক বা কোন মিডিয়া ব্যক্তি না হয়েও জ্যাকব মিল্টন নামের জনৈক ব্যবসায়ী একটি অফিসে (ষ্টুডিও নয়) সাফাদি ডেকে এনে এ সাক্ষাৎকারটি ধারন করেন। দু’একটি প্রসঙ্গে আলাপের পর সাফাদি কোনভাবেই যেন জয়ের নাম বলতে চাচ্ছিলো না কিন্তু জ্যাকব বারবার তাকে যেন স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন জয়ের নাম বলতে। এদিকে সাফাদি বলছিলো সে জানেই না সে কে এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে? এ সময় একটি পর্দায় বড় করে জয়ের ছবি দেখিয়ে জ্যাকব বলেন, তুমি কি জান এ ব্যক্তিটি কে? ইনি হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তুমি তার সাথেই কি দেখা করেছ? সাফাদি বলেন ‘ইয়েস’। একই অফিসে পরপর দুটি সাক্ষাৎকার ধারন করা হয়। অন্যটি কিছুটা টক শো’র মতই। সাফাদির সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাবেক বৈদেশিক দূত ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জাহিদ এফ সরদার সাদী। ক্যামেরার সামনে বসে মনে হয়েছে তিনিই উপস্থাপক। তিনিও সাফাদিকে একই রকম প্রশ্ন করতে থাকেন। তবে এ সাক্ষাৎকারটি যে পরিকল্পিত এতে কোন সন্দেহ নেই। সাক্ষাৎকার গ্রহনকারী জ্যাকব মিল্টন কোন সাংবাদিক নন। অফিসে বসে সাফাদির সাক্ষাৎকারের নামে তাকে দিয়ে কিছুটা জোর করেই জয়ের নাম বলানো হয়। একই সাথে এ ভিডিও তিনি এবং সাদী যোগসাজস করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে ঢাকার যমুনা টেলিভিশনেও সাফাদির একই ধরনের সাজানো একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করা এতে জয়ের কোন প্রসঙ্গই ছিল না। এ বিষয়টি চলছে নানা আলোচনা।

মেন্দি এন সাফাদির এ সাজানো সাক্ষাৎকারটি গ্রহনের নেপথ্যে কাজ করেছেন বিএনপির হাইকমান্ড। মাত্র কয়েকদিনের জন্য বিএনপির একজন হাইকমান্ডে একজন নেতা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। অতি গোপনে এ কাজটি করে তিনি আবার ফিরে গেছেন। এছাড়াও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জালিয়াতকারী ও দাগী আসামী জাহিদ এফ সরদার সাদী।

এই সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাতের সূত্র ধরে বাংলাদেশের পুলিশ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছে। আসলাম ভারতে গিয়ে সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমন খবর সংবাদপত্রে প্রকাশের কয়েকদিন পর গত ১৫ মে তাকে ঢাকায় আটক করা হয়। সাফাদিকে ইসায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার (মোসাদ) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলেও উল্লেখ করে কয়েকটি পত্রিকা। আসলামকে আটকের পর সাফাদি একাধিক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ভারতে আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল ঠিকই, তবে তাদের মধ্যে কোনো গোপন বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। কিন্তু পুলিশের বলছে, সাফাদি যাই বলুন না কেন তারা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারের উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন। আর এ কারনেই বিএনপির হাই কমান্ড থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে আরও একটি ষড়যন্ত্র শুরু করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে হত্যা ও অপহরণ চেষ্টায় সংঘবদ্ধ যে চক্রটি জড়িত ছিল বর্তমান চক্রটি তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী বলে অনেকেই ধারনা করছেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু

দেশের মানুষের মনোবাসনা বুঝে স্বচ্ছ রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ীবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

বগুড়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৭ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় গাবতলীর নিহত বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গিয়ে সংঘর্ষের সময় শহরের ঝাউতলা এলাকায় নিহত হনবিস্তারিত পড়ুন

  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল
  • বিএনপির টপ টু বটম দুর্নীতিতে জড়িত: কাদের
  • চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস