শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিএনপির প্রত্যাশা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে আ. লীগের নতুন কমিটি

আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকতে চাইছিলেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি থাকতে থাকতে নতুন নেতা নির্বাচন করার জন্যও কাউন্সিলরদের বলেছিলেন। কিন্তু কাউন্সিলররা এতে কোন ভাবেই সমর্থন করেননি। তারা শেখ হাসিনাকে যেতে দিবেন না এমনটাই জানিয়েছেন। অনুরোধ করে বলেছেন নেত্রী আপনি আমাদের ছেড়ে যাবেন না। এই মুহুর্তে দলের নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনার বিকল্প কাউকে মেনে নিবে না। এই কারণেই আওয়ামী লীগের সভাপতির জন্য এবারও নাম প্রস্তাব করা হয় শেখ হাসিনার।

কাউন্সিলররা তাকে সমর্থন করেন। শেখ হাসিনার নামের পাশে সভাপতি পদে আর কোন নাম না থাকায় নির্বাচন কমিশনার তাকে সভাপতি ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কাউন্সিলরদের নতুন নেতৃত্ব খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি (শেখ হাসিনা) থাকতে থাকতে নতুন নেতৃত্ব আনুন। আমি চাই বেঁচে থাকতেই নতুন নেতা নির্বাচন করে দলকে শক্তিশালী করতে। এই বক্তব্যের জবাবে কাউন্সিলররা না না বলে চিৎকার করেন। কাউন্সিলররা এবার সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন দেখতে চান না বলে তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ৩৫বছর দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এখন আবার তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় নেতা কর্মীরা খুশী। পাশাপাশি তাদের মধ্যে স্বস্তিও এসেছে। শেখ হাসিনা নতুন নেতা নির্বাচন করার জন্য কাউন্সিলরদের বলায় অনেকের মধ্যে উৎকন্ঠা ছিলো। নতুন কারো নাম ঘোষণা করা হয় কিনা এই রকমও আশঙ্কা তৈরি হয়। তারা নতুন কোন নেতাকে মেনে নিতে আগ্রহী ছিলেন না। ফলে শেখ হাসিনা আবারও সভাপতি হন।

এদিকে শেখ হাসিনা নতুন করে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিএনপি সন্তুষ্ট। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের কাউন্সিলে নেতা নির্বাচন করেছে। আমরা মনে করি আওয়ামী এখন দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে। আওয়ামী লীগেন নব নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন ও দায়িত্ব পেয়েছেন তারা বিএনপির প্রতি বৈরী আচরণ করবেন না। তারা বিএনপিকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র করবে না। বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আন্তরিক হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করবে। আগে তারা যে ভুল করেছিল তাও শুধরে নিবে। আর তারা সেই ভুল শুধরে নিলে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য কাজ করবেন। তিনি বলেন, আমরা এটাও আশা করবো এখন আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসবে। আওযামী লীগের তরফ থেকে নতুন করে সংলাপে আয়োজন করবেন। আমরা সংলাপে বসতে চাই।

সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পরিবারের কেউ আগামী দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসতে পারেন। এবার তৃণমূল থেকে তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। আবার বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, কাউন্সিলে চমক থাকছে। যদিও সভাপতি ও সাধরণ সম্পাদকের পদে কোন চমক নেই। এখন অন্যান্য পদে চমক দেখা যায় কিনা সেই জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার পুত্র রেদোয়ান সিদ্দিকী মুজিব ববি, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কেউ সম্মেলনে যোগ দেননি। পুতুল ও ববি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এই কারণে তারা কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। এই জন্য তারা আসেননি। শেখ রেহানা সম্মেলনে আসেননি। এর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন দিক থেকে নানা কথা শোনা যাচ্ছে।
এদিকে শেখ হাসিনা কাউন্সিলে ২০১৯ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশের মানুষকে আওয়ামী লীগের ভিশন, উন্নয়ন কর্মকান্ড অবহিত করতে হবে।

এর আগে দলের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে আবারও দলের প্রধান হিসেবে নতুন নেতা নির্বাচন করার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। দলের সভাপতি হিসেবে ৩৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালনে কোনো ভুলত্রুটি হলে ক্ষমাও চান তিনি। আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আছি। কোনো ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। আমি অনেক দিন দায়িত্বে থাকার জন্য হয়ত অনেক কথা বলেছি। আজকের সম্মেলনে অনেকে আমাকে আজীবন সভাপতি থাকতে বলেছেন। এটা কখনও সম্ভব হওয়ার নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার ছয় বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করে শেখ হাসিনাকে। হাসিনা বলেন, আপনারা আমাকে যখন দায়িত্ব দিয়েছিলেন, আমার ছোট্ট শিশুকে বঞ্চিত করে এসেছি। আপনাদের মাঝে সেই ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি। আপনাদের কারণে আমি তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছি। অনেক সম্মানিত হয়েছি। আমি মনে করি এই সম্মান থাকতে থাকতে বিদায় নেয়া ভালো। নেতা-কর্মীরা সমস্বরে বলেন, না, নেত্রী আপনি যাবেন না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল