শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিএনপির মনোবল ভাঙতেই বিপুল বিজয় নিশ্চিত করে আ’লীগ

বিএনপির আত্মবিশ্বাস ও তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙতেই পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদের বিপুল বিজয় নিশ্চিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে বিএনপির অবস্থান দুর্বল এবং আওয়ামী লীগের অবস্থ্না পোক্ত হবে। একই সাথে আগামীতে ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ আরো এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারবে। বিশেষ করে এ নির্বাচনের ফলাফল আগামী নির্বাচনে দলের পক্ষে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকেরা।

পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বিএনপির ভরাডুবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের আপামর জনগণ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তারা দেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায়। তারা কোনোভাবেই আর বিএনপির জ্বালাও, পোড়াও নাশকতা দেখতে চায় না। সে জন্য তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করেছে। তারা ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

তার মতে, বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা এমনিতেই বিভিন্ন কারণে হাইকমান্ডের ওপর চরম ুব্ধ। এবারের নির্বাচনে ভরাডুবির ফলে তাদের মনোবল আরো ভেঙে যাবে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি এক সময় অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ২১৪টি পৌরসভার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৮টি, বিএনপি ১৯টি, জাতীয় পার্টি ১ টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৬টি পৌরসভায় জয়লাভ করে। আর বাকি ২০টি পৌরসভায় ফল স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, এবারের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বিজয়ী হবে এমন তথ্য আগেই ছিল দলটির কাছে। তবে তা ঘোষিত ফলাফলের মতো এত বেশি ছিল না। কিন্তু নির্বাচনে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে সক্রিয় করে কেন্দ্রের বিভিন্ন কৌশলে দলীয় প্রার্থীদের বিপুল বিজয় নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ। সে জন্য কৌশলগত কারণে নির্বাচনের আগেই ২০০ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে আছে বলে বারবার দাবি করে আসছিলেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। ভবিষ্যতে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপিকে চাপে রাখতেই এ ধরনের কৌশল নেয় ক্ষমতাসীন দল।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির অবস্থান তুলনামূলকভাবে অনেক শক্ত। সে জন্য বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়। আর মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। তাই মাঠপর্যায়ে বিএনপির আত্মবিশ্বাস ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান পোক্ত করতে বিভিন্নভাবে কাজ চলছিল। এবার পৌরসভা নির্বাচনের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিএনপিকে দুর্বল করতে এবারের পৌরসভা নির্বাচনকে খুব বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় ক্ষমতাসীনরা। সে জন্য দলের প্রার্থীদের বিপুল বিজয় নিশ্চিত করতে নানা কৌশল নেন নীতিনির্ধারকরা। বিশেষ করে সহিংসতা ও খুনোখুনি এড়িয়ে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় কিভাবে ছিনিয়ে আনা যায়, সেটিকে বেশ গুরুত্ব দেয় দলের হাইকমান্ড।

এতে বিভিন্ন মহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে করেন তারা। সে জন্য এবারের নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হবে না বলে বারবার আশ্বস্ত করে আসছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ নীতিনির্ধারকরা। অবশেষে অতীতের চেয়ে বড় ধরনের সহিংসতা এড়িয়ে নানা কৌশলে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের বিপুল বিজয় নিশ্চিত করা হলো।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্যের মতে, এ নির্বাচনের ফল দেখে মাঠপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। অনেকে বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি আস্থা হারিয়ে আরো নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এতে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ও পোলিং এজেন্ট সঙ্কটে পড়বে। কারণ তাদের ধারণা হয়ে যাবে আওয়ামী লীগের সাথে কোনো কৌশলেই বিএনপি পারবে না। অতএব নির্বাচনে সক্রিয় হয়ে আর লাভ কী! আর এ সুযোগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে জয়লাভ করতে পারে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির বেশির ভাগ দুর্গ ভেঙে পড়বে। অন্য দিকে আওয়ামী লীগ আরো সুসংহত হবে। এভাবে শুধু ইউনিয়ন পরিষদই নয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এর রেশ থাকবে, অর্থাৎ ভবিষ্যৎ ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সহিংসতা ও জঙ্গিবাদের পক্ষে। তারা গণতন্ত্র ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না। কিন্তু দেশের মানুষ আর জ্বালাও, পোড়াও, সহিংসতা দেখতে চায় না। সে জন্য তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে। এতে একপর্যায়ে বিএনপির হতাশাগ্রস্ত নেতাকর্মীরাও তাদের ভুল বুঝতে পেরে ধীরে ধীরে বিএনপি থেকে সরে যাবে। জনগণ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই থাকবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল