‘বিএনপির সম্ভাব্য সাংসদদের টার্গেট করছে সরকার’
ভবিষ্যত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির যেসব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সম্ভাব্য সেসব নেতাদের নির্বাচনী ময়দান থেকে সরানোর ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘যদি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপির বিপুল বিজয় ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে তারা। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যারা সংসদ সদস্য ছিলেন বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদেরকে প্রথমে নির্বাচনী ময়দান থেকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে।’
যুবদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র।
সম্প্রতি দুই বিদেশি হত্যার প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি সব সময় চেয়েছে, এই অন্যায় এবং ঘৃন্য অপরাধীদের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হোক। কিন্তু আমরা দেখলাম, কোনো তদন্ত ছাড়াই সরকার প্রধান বলে দিলেন এই ঘটনার জন্য বিএনপি দায়ী, জামায়াত দায়ী।’
তিনি বলেন, ‘এখন সরকার প্রধানের কথা সত্য প্রমাণ করার জন্য তার অধীনস্থরা আমাদের দলের নেতাদের অভিযুক্ত করে চলেছেন। সেই অভিযোগের শিকার হয়েছেন ঢাকা থেকে নির্বাচন করা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং বাড্ডা থেকে নির্বাচন করা এম এ কাইয়ুম।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খোকাকে কারাদ- দেওয়া হয়েছে সরকার পক্ষের দ্রুত জুলুমের মাধ্যমে। তা না হলে একজন অসুস্থ মানুষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সুবিচার নিশ্চিত করা যায় না।’
‘চক্রান্ত সফল হবে না’ মন্তব্য করে সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে কি লাভ হবে? জনগণ যখন বিরুদ্ধে যাবে তখন বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতা পরাজিত হয়ে যাবে। এটি ইতিহাস, বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে আসামী হওয়ার জন্য অপরাধ করতে হয় না। তারা চাইলে যে কাউকে অপরাধী করতে পারে। মামলার শিকার হয়নি বিএনপিতে এমন নেতাকর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু বলতে চাই, এই ধরনের চক্রান্ত সফল হয় না। গ্রেফতার করে আন্দোলন বন্ধ করা যায় না আওয়ামী লীগের চেয়ে কে ভালো জানে?’
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পত্রিকায় পড়েছি, এই সরকার বিদেশের মাটিতে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ আজকের এই যুগে বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। বিশ্ব জানে, কোন দেশের কোন দল কেমন।’
বিএনপির হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বসা করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু তারপরও দলটিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অনেক লোক সন্দেহ করে, বিএনপিকে বহির্বিশ্বে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা যায়নি বলেই এই ধরনের একটি নাটক করেছে। বিএনপিকে অভিযুক্ত করে দলের নেতাদের সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ যদি কেউ পড়ে, উড়িয়ে দেওয়া যাবে?’
সব ধরনের হত্যার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সব হত্যার বিচার চাই। এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যারও বিচার করতে হবে। কিন্তু সেই বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে। যারা ন্যায়বিচার করার শপথ নিয়ে বিচার করার জন্য বসেছেন তারা সুবিচার করবেন। তার মাধ্যমে প্রত্যেকটি জিনিসের বিচার চাই।’
যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে যুবদল নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ওমর ফারুক, মাসুদুর রহমান মাসুদ, আ ক ম মোজ্জামেল হক, সৈয়দ আবেদিন প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন