সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিএনপি-জামায়াতের দূরত্ব প্রকাশ্যে!

প্রায় ১৭ বছর পর ভেঙে গেছে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক। জোটের দ্বিতীয় প্রধান শরিক জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও দুই দলের মধ্যে আগের মতো সেই যোগাযোগ নেই। দুই দলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয় না কয়েক মাস হয়ে গেলো। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আলোচনা কম বলে জানিয়েছেন দুই দলের নেতারাই।

১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গোলাম আযমের জামায়াতে ইসলামী, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি আর শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে জোট করে বিএনপি। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এরশাদ জোট থেকে সরে গেলেও দলের আরও একটি অংশ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি নামে জোটে থেকে যায়।

জোটবদ্ধ হওয়ার পর থেকে জাতীয় এমনকি স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে একসঙ্গেই কাজ করেছে বিএনপি-জামায়াত। কিন্তু সরকার পতনের আন্দোলন দুই দফা ব্যর্থ হওয়ার পর স্বাধীনতাবিরোধী দলটির সঙ্গে বিএনপি কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগই বিচারের মুখোমুখি। এরই মধ্যে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে তিন নেতার। একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুরু হয়েছে। ফাঁসির দণ্ড হয়েছে আরও তিন জনের। এখন দল হিসেবেও জামায়াতের বিচার করতে আইন সংশোধনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

কেবল মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে অস্ত্র ধরা নয়, আন্দোলনের নামে নজিরবিহীন নাশকতা আর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগও আছে জামায়াতের বিরুদ্ধে। এসব কারণে দলটির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগে বিএনপির ওপর দেশি-বিদেশি চাপ ছিল আগে থেকেই। কিন্তু জামায়াতের চার থেকে পাঁচ শতাংশ ভোটের কথা চিন্তা করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের বিষয়টি এতদিন বিবেচনায় আনেনি বিএনপি।

কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপির মধ্যে নতুন বোধদয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা। এ কারণেই পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে কোন ধরনের সমঝোতার চেষ্টা করেনি বিএনপি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জোটের শরিক দলটির সঙ্গে কোন ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা।

২০ দলীয় জোটে জামায়াত ঘনিষ্ঠ একাধিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় জামায়াতের ভালো অবস্থান আছে, সেগুলোতে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে কথা না বলে সেসব এলাকায় প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দলটির পক্ষে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ফলে পৌর নির্বাচনের মতোই স্বতন্ত্র হিসেবে তাদের প্রার্থীদের লড়তে হবে।

মনোনয়ন চূড়ান্ত করার একদিক আগে গত শনিবার জোটের বৈঠক হলেও তাতে

জামায়াত, এলডিপি, সাম্যবাদী দল ও মুসলিম লীগের কোনো প্রতিনিধি ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন নেতারা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি। শরিকদের মধ্য থেকে কেউ কেউ ইউপি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী দেয়ার কথা বললেও তা আমলে নেয়া হয়নি।

গত পৌরসভা নির্বাচনের আগেও জোটের সমন্বয় সভায় জামায়াত অংশ নেয়নি। সে সময়ও এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা উঠেছিল।

আলোচনা হচ্ছে- আসলে কি জামায়াতকে দাওয়াত দেয়া হয়নি? না জামায়াত নিজে থেকেই আসছে না?

এমন প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির একজন সহ-সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনের আগে জোটের যে বৈঠক ছিল তাতে অন্যদের মতো জামায়াতকেও দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে যাকে পাঠানো হবে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে যোগ না দেয়ার কথা জানিয়েছিল’।তবে গত শনিবারের বৈঠকে জামায়াতের কেউ ছিল না কেন সে বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন এই নেতা।

এদিকে জামায়াতঘনিষ্ঠ জোটের একটি শরিক দলের মহাসচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আপাত দৃষ্টিতে দেখলে দুই দলের দূরত্ব যে অনেকটা প্রকাশ্যে চলে আসছে তা বলতেই হবে। কারণ পৌরসভা নির্বাচনে জোটের শরিকদের মধ্যে এলডিপি ও বিজেপি ছাড়া বিএনপি কাউকে ছাড় দেয়নি। তাই জামায়াত নিজেদের মতো নির্বাচন করে নানামুখী চাপের মধ্যেও তাদের বেশ কয়েকজন মেয়র হয়েছেন। ৭০টির মতো কাউন্সিলর পদ পেয়েছে। এবারও বিএনপি এমন করবে জেনেই তারা (জামায়াত) নিজেদের মতো করে নির্বাচনী কার্য‌ক্রম চালিয়ে যাচ্ছে’।

বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে কিনা এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক।বর্তমানে জোটের কর্মসূচি না থাকলেও জোটগতভাবেই ইউপি নির্বাচন হবে। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই ।’

পৌরসভার মতো ইউপিতেও জামায়াত আলাদা প্রার্থী দিয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এটা ভালো বলতে পারবেন নির্বাচনী কার্যক্রম যারা তদারকি করছেন তারা।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল