বিএনপি নিয়ে খালেদা-তারেকের চুলচেরা বিশ্লেষণ
বিএনপি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান। তাদের মা-ছেলের এই বিশ্লেষণে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে দলের বর্তমান অবস্থা, স্বার্থকতা ও ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের সরকার ও বিরোধী দলে থাকার সময় দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকান্ড এবং বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রাম ব্যর্থতার কারণ নির্ণয়ে আলোচনা করেছেন তারা। এমনকি বিএনপির প্রতি বর্তমান সরকারের আচার-আচরণ নিয়েও কথা বলছেন বিএনপির এই দুই সিনিয়র নেতা। লন্ডন বিএনপির একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, খালেদা জিয়া তার লন্ডন সফরে ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি বিএনপির ভবিষ্যত প্রধান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে দলীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লন্ডনে খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন।
এ সুবাদে তারেক রহমান সারাক্ষন মায়ের (খালেদা জিয়া) সঙ্গেই বাসায় থেকে দল নিয়ে বিশ্লেষণমূলক আলাপচারিতা করেছেন। দলের আন্দোলন সংগ্রামসহ অন্যান্য বিষয়ে ২০ দলের ভুমিকা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন খালেদা-তারেক। এসব বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই আগামী দিনে দল পরিচালনা করবে বিএনপি।
বিগত দিনে যারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দলের দুঃসময়ে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে আত্মগোপনে ছিলেন। এবার তাদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিবেন দলের এই দুই নীতিনির্ধারক। এছাড়াও দলের আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে না থেকে যারা দূরে বসে নিজেদের জানান দিয়েছে তারাও ছাড় পাবেন না।
বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া। এবার একজন ব্যক্তিকে দলের একাধিক পদ দেয়া হবে না। ক্লিন ইমেজ, সুশিক্ষিত, মাঠের ত্যাগী নেতা ও দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নেতাদের হাতেই বিনপির নেতৃত্ব তুলে দেবেন খালেদা।
এদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি সরকারের হামলা, মামলা ও নির্যাতনের ব্যাপারেও একান্তে আলোচনা করেছেন খালেদা-তারেক। সরকারের এ দ্বৈতনীতি থেকে বাঁচার কিছু কৌশল নির্ধারণ করেছেন তারা। পাশাপাশি আগামী দিনে সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রামের বিভিন্ন কৌশল ঠিক করেছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লন্ডন বিএনপির এক নেতা বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দল পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপি প্রধান লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই এসব বিষয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। দলীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের পরে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গেও এসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এরপরই পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে বিএনপি।
গত ৪ অক্টোবর লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে ফিরে বিএনপি ও অঙ্গদলের প্রতিটি ইউনিটকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনার কথা ভাবছি আমরা। যারা রাজপথের কর্মী তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
এ সময় তিনি আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা রাজপথের কর্মী, তারা ফেসবুকের কর্মী হওয়ার কোনো দরকার নেই। দলের মূল শক্তি হলো রাজপথের কর্মী। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুলটাইম ব্যয় করলে মাঠে কাজ করবে কারা?
গত শক্রবার শহীদ জেহাদ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।বিগত আন্দোলনে ভুমিকা বিবেচনায় নতুনভাবে আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত কাঠামো তৈরী করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন