বিদেশি বন্ধুরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিদেশি বন্ধুরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করছে। তারা না থাকলে আমাদের যে কি অবস্থা হতো; তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সিপ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে এডিবি থেকে প্রথমে প্রস্তাব নিয়ে আসলে তেমন গুরুত্ব দেইনি। পরে প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য দেখে অর্থমন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সম্মত হয়। তারা এদেশের অদক্ষ, অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এডিবি অনেক কষ্ট করে প্রকল্পটি তৈরি করেছে। এছাড়া তারা সবার সহায়তাও পেয়েছে। আমাদের স্বপ্ন পূরণ করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দক্ষতার ক্ষেত্রে, ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে দৈন্যতা রয়েছে; এর থেকে বেরিয়ে আসতেই পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা যে স্বপ্ন দেখছি সেগুলো দক্ষতা ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। আশা করি প্রকল্পটি ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। এই প্রকল্প দিয়ে শ্রমিকরা দক্ষতা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। দেশের রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়বে।
তিনি আরো জানান, শুধু অর্থমন্ত্রণালয় নয়, এই প্রকল্পে সঙ্গে শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় রয়েছে।
বিজিএমইএ’র সম্ভাব্য সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, প্রকল্পটি অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিজিএমইএ অংশিদার হিসেবে কাজ শুরু করেছে। গৃহীত প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত অদক্ষ, অর্ধদক্ষ শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও যোগ্যতার মানোন্নয়ন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের অধীনে বিজিএমইএ পোশাক শিল্পের বিভিন্ন পদ বিশেষ করে কারখানায় প্রবেশ থেকে শুরু করে মধ্যম পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা পদ পর্যন্ত দক্ষতাভিত্তিক বিভিন্ন পদে ৪৩ হাজার ৮০০ দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের প্রথম মাইলস্টোন টার্গেট পূরনের পর্যায়ে বিজিএমইএ পৌঁছে গেছে। শ্রমিকদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে; যাতে তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পায়।
জানা গেছে, ২৩টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়য়ে দুই লাখ ৬০ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৪৩ হাজারের ওপরে প্রশিক্ষণ দেবে বিজিএমইএ। এটা পাঁচ বছরের কার্যক্রম, যা ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে। খরচ পড়বে এক বিলিয়ন ডলার।
বিজিএমইএ’র সহসভাপতি এস এম মান্নান কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ, প্রকল্প টিম লিডার রজেশ বিন পান্থ, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, সহসভাপতি (অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদ প্রমুখ।
এ সময় প্রকল্পের সফল ট্রেইনিদের (প্রশিক্ষকদের) হাতে সার্টিফিকেট ও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন