বিদ্রোহী সমর্থকদের ওপর যুবলীগের হামলা, গুলিবিদ্ধ ১০
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ কর্মীরা। এসময় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় প্রতিপক্ষের মারপিট ও পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের ভাতহাড়িয়া গ্রামে যুবলীগের নির্বাচনী বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে এ হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দিন মাহমুদ নাজিরের স্ত্রী রীনা বেগম, তার ছোট ভাই আলমগীর হোসেনের স্ত্রী লতিফা বেগম, হামিন দামিন গ্রামের মৃত এশারত আলীর ছেলে ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সৈকত হাসান ফাত্তাহ, ভাতহাড়িয়া গ্রামের মৃত কোবাদ আলীর ছেলে আব্দুল গাফ্ফার, মৃত হাসেন আলীর চার ছেলে হেলাল, বেল্লাল, সাঈদ ও আয়নাল।
আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও বাবলু শেখ বাংলানিউজকে জানান, বুধবার বিকেলে ভাতহাড়িয়া স্কুলে যুবলীগের বর্ধিত সভার নামে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম সরওয়ার লিটন নির্বাচনী সভার আয়োজন করেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বর্ধিত সভা করতে নিষেধ করলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন বাবু ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটনের ছোট ভাই টিটুর নেতৃত্বে তিন/চারশ’ বহিরাগত লোকজন শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন।
এতে বাধা দিতে গেলে ভাতহাড়িয়া গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা ও মারপিট করেন তারা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়লে গোলাম ও আয়নাল গুলিবিদ্ধ হয়।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নাজির বলেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবি হবে এ আশঙ্কায় আমার কর্মীদের মারপিট করা হয়েছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময়ে আমার কর্মীদের ভয়ভীতি এবং হুমকিও প্রদর্শন করে আসছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম সরোয়ার লিটনের মোবাইলে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিন্নাহ আলমাজী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে যারা কাজ করছে তারা কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ-তাড়াশ সার্কেল) মোতিয়ার হোসেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আনা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি নিক্ষেপ করেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন