বিধ্বস্ত রুশ বিমানের সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে
রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়ে ৯২ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়েছে।নিহতদের স্মরণে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে রাশিয়ায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেই স্থানটি চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকটি লাশ উদ্ধার হলেও সেখানে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার অবকাশ কেন্দ্র সোচি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ২৫ মিনিটে উড্ডয়নের দুই মিনিট পরেই উড়োজাহাজটি রাডার থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। টুপোলেভ-১৫৪ নামের সামরিক বিমানটি রাজধানী মস্কো থেকে যাত্রা শুরু করে। জ্বালানি নিতে এটি সোচির এডলার বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সরকার ওই বিমানের আরোহীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে আটজন সেনাসদস্য, নয়জন সংবাদকর্মী, বিমানের আটজন ক্রু এবং রুশ সেনাবাহিনীর একটি বিখ্যাত সঙ্গীতদল আলেক্সান্দ্রভের ৬৪ জন সদস্য ছিলেন। তারা সিরিয়ার লাটাকিয়ায় রুশ ঘাঁটিতে নববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মানবাধিকারকর্মী ফেয়ার এইড চ্যারিটির নির্বাহী পরিচালক এলিজাভেতা গ্লিংকা এবং দুইজন সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন ওই বিমানে।।
কৃষ্ণ সাগরে দুর্ঘটনার স্থানটি স্পষ্টভাবেই চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলার বিষয়ে বর্ণনা করে বলেন, ‘এ মুহূর্তে একশ জনেরও বেশি ডুবুরি অবিরাম কাজ করছে। টিইউ-১৫৪ বিমানটির সম্ভাব্য সুস্পষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। সোনার ও স্ক্যানার বিশিষ্ট জলযানগুলি সাগরের একদম তলদেশ পর্যন্ত খুঁজে দেখছে। সামরিক কার্গো বিমানগুলোতে আরো ডুবুরীরা পার্শ্ববর্তী ঘাঁটিগুলো থেকে আসতে শুরু করেছে। মনুষ্যবিহীন ডুবোজাহাজ ফ্যালকন এবং টাইগার অল্প সময়ের মধ্যেই এডলার বিমানবন্দরে পৌঁছে যাবে। রাশান জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটির দুটি ডুবোজাহাজও দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।”
চারটি হেলিকপ্টার, ২৭টি নৌযান, ২৭ জন ডাইভারসহ ৩০০ উদ্ধারকর্মী এবং ড্রোন ও মনুষ্যবিহীন ডুবোযান নিয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সোচি উপকূল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ৫০ থেকে ৭০ মিটার গভীরে এর ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে। রুশ গণমাধ্যমের প্রচার করা একটি অডিও রেকর্ডে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীদের শেষ কথাবার্তা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা শুনে কোনো সমস্যার ইঙ্গিত মেলেনি। দুর্ঘটনাস্থলে বিমান চলাচলের পরিবেশ অনুকূলেই ছিল।
দুর্ঘটনার তদন্ত করতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি রাষ্ট্রীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্র মেদভেদেভ। দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে সরকার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। লাটাকিয়ার ওই রুশ বিমানঘাঁটি থেকেই সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানো হয়।
তবে রুশ ফেডারেশনের কাউন্সিল কমিটি অন ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটির চেয়ারম্যান ভিক্তর ওজেরভ নাশকতার সম্ভাবনা নাকচ করে বলেছেন, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন