শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

জেলা পরিষদ নির্বাচন:

বিনা ভোটে নির্বাচিত ২১, সম্ভাবনা আরো

প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা । তারা বলছেন, ৫ জনুয়ারির মত এ নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ার হিরিক শুরু হয়েছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬১ টি জেলার মধ্যে এরি মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২১টি একক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধির ভোটে হতে যাওয়া এ নির্দলীয় শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অংশ নিচ্ছে না।

গত রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর দুই জন করে প্রার্থী রয়েছে এমন ১৬টি জেলা রয়েছে। সোমবার থেকে প্রত্যায়হার শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামেই একজন প্রত্যা হার করে নিয়েছেন।

তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে ৫ জেলায়, চার জন করে ১৩ জেলায়, ৫ জন করে তিন জেলায়, ছয় জন করে দুই জেলায়, সাত জন একটি জেলায় এবং সর্বেোচ্চ ৮ জন বৈধ প্রার্থী রয়েছে একটি জেলায়। ১১ ডিসেম্বরের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বির সংখ্যা আরো বাড়বে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদে চেয়ারম্যােন পদে গতসোমবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনএফ সমর্থিত প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এম এ সালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

পরে নারায়ণ রক্ষিত বলেন, “আওয়ামী লীগ ও বিএনএফ একে অপরের সহযোগী। বিএনএফ জোটে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।

গাইবান্ধায় জাসদ সমর্থিত প্রার্থী খাদিমুল ইসলাম খিদু জানান, নির্দলীয় নির্বাচন হওয়ায় দল থেকেও কোনো চাপ নেই। ক্ষমতাসীন দলের কেউ এখন পর্যন্ত সরে দাঁড়ানোর জন্যযও বলে নি।

তিনি বলেন, “আমি সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। মাত্র হাজার খানেক ভোট হওয়ায় আগের স্থানীয় নির্বাচনের মতো এখনো কোনো ভোট কেটে নেওয়ার পাঁয়তারা চলতে পারে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে ইসির প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

ঢাকা জেলা পরিষদের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “ঢাকায় দুই জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল চেয়ারম্যা ন পদে, হলফনামা না দেওয়ায় বাছাইয়ে একজন বাদ পড়েছেন। সেক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন একজন। সাধারণ সদস্যা পদেও তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বি রয়েছেন। বাকিদের জন্যে এ নির্বাচন করতে হবে।

একক প্রার্থী রয়েছে ২১ জেলায়: বাগেরহাট, বরগুনা, ভোলা, ঢাকা, দিনাজপুর, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, জয়পুরহাট, যশোর, ঝালকাঠি, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, নেত্রকোণা, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, ঠাকুরগাঁও।

দুই জন করে প্রার্থী রয়েছেন ১৫ জেলায়: বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফরিদপুর, ফেনী, গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, নীলফামারী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, রংপুর ও শরীয়তপুর জেলায়।

তিন জন করে প্রার্থী ৫ জেলায়: খুলনা, মাগুরা, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী ও রাজশাহীতে।

চার জন করে প্রার্থী রয়েছে ১৩ জেলায়: বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুর, নড়াইল, নোয়াখালী, পাবনা, পিরোজপুর, রাজবাড়ি, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও লালমনিরহাট জেলায়।

৫ জন করে প্রার্থী রয়েছে তিন জেলায়: গাইবান্ধা. মানিকগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে।

ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, চেয়ারম্যান পদে মোট ১৯০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। সদস্যা পদে ৩৫৬১টি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদের জন্যট ৮৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

২০ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেয়ারম্যা্ন, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। ৩ ও ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যানহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর। জেলা পরিষদে ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত।

এই নির্বাচনে সরাসরি ভোট হবে না। জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারমযারকন ও সদস্যা (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনটি নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এছাড়াও নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় নির্বাচনটি নিয়ে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

৫ই জানুয়ারি রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাকী ১৪৭টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আর ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার ফলে সাড়া দেশের মোট ৯,১৯,৬৫,৯৭৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান ৪,৩৯,৩৮,৯৩৮ জন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঢাকা-অটোয়ার সম্পর্ক জোরদারে তৌহিদ ও মেলানির আলোচনা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলিবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরেবিস্তারিত পড়ুন

আন্দোলনের সকল শহিদ এবং আহতদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে: নাহিদ ইসলাম

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহিদ এবং আহতদের নাম তালিকায়বিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছাড়াল ২৬ হাজার, মৃত্যু বেড়ে ১৩৮
  • ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশ গঠনের আহ্বান ছাত্রশিবিরের
  • আওয়ামী লীগকে ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব: জয়
  • দুর্গাপূজায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জিএমপি কমিশনারের
  • বার নির্বাচনে জালিয়াতি: আনিসুল হক, এম আমিন উদ্দিনসহ ৪০ জনের নামে মামলা
  • খেলাধুলায় কর্মোদ্দীপনা ও মনোবল বৃদ্ধি পায়: মাইনুল হাসান
  • দুর্গাপূজায় ভারত যাচ্ছে তিন হাজার টন ইলিশ
  • প্রচলিত দলগুলো জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে তরুণদের দল গঠন করতে হবে: ফরহাদ মজহার
  • কলেজছাত্র ইলহামের চিকিৎসায় তারেক রহমানের বিশেষ উদ্যোগ
  • সম্প্রীতি নষ্ট করতে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: হাসান আরিফ
  • রাষ্ট্র সংস্কার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার আহ্বানে ড. ইউনূসকে ৪ মার্কিন সিনেটরের চিঠি 
  • জাতিসংঘ অধিবেশনে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা নিরসনের প্রচেষ্টাই মূখ্য হয়ে উঠবে