দরজায় কড়া নাড়ছে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ লিগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর। যেখানে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে জমজমাট হয়ে উঠে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ কিছু ইংলিশ ক্রিকেটারেরও এ লিগ উপলক্ষে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। তবে তাদের বিপিএলে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করেছে ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটারদের সংস্থা (পিসিএ)

বর্তমানে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ও দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে। তবে এ সফর অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল নিরাপত্তাজনিত ইস্যুর কারণে। পরে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের পর আশ্বস্ত হয়ে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড দলকে সফরে পাঠানোর জন্য সম্মত হয়েছে। আর তাদের সঙ্গে একমত ছিল পিসিএও।

ইংল্যান্ডের ছয় জন ক্রিকেটার বিপিএলের জন্য ডাক পেয়েছেন। তবে তাদের এ টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পিসিএ। কারণ সংস্থাটি বিপিএলে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে ততটা নিশ্চিত হতে পারছে না। তাদের ধারণা, ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ যে ধরনের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিপিএলে তা নাও থাকতে পারে।

গত আসরেও পিসিএ ইংলিশ ক্রিকেটারদের একই পরামর্শ দিয়েছিল। পরে পিসিএ ইংলিশ ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এই মর্মে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নেয় যে, নিরাপত্তা বিষয়ক সকল দায়দায়িত্ব ক্রিকেটাররা নিজেরাই বহন করবে। এরপরই তাদেরকে বিপিএলে খেলার অনুমতি প্রদান করে পিসিএ।

উল্লেখ্য, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিপিএলের চতুর্থ আসর শুরু হতে যাচ্ছে। আর এ আসরে রবি বোপারা, টাইমেল মিলস, রিকি ওয়েসেলস, সামিত প্যাটেল, জসুয়া কব ও রিচার্ড গ্লেসন অংশ নিবেন বলে আগেই জানিয়েছেন। তবে জেসন রয় ও সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে বিপিএলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।

আসন্ন বিপিএল আসরে ইংলিশ ক্রিকেটারদের পাওয়া কিছুটা অনিশ্চিতই হয়ে গিয়েছে। কেননা তাদের এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হলে অবশ্যই ইসিবি ও কাউন্টি দলের অনুমতি নিতে হবে। যা একটু কষ্টসাধ্যই মনে হচ্ছে।