বিপিএল ‘বিতর্ক’ নিয়ে তামিম ও বিসিবির ব্যাখ্যা
বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে সোমবার দুপুর ২টায় মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল চিটাগং ভাইকিংস ও সিলেট সুপারস্টার্সের। কিন্তু মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ২টার পরবর্তীতে ৭৮ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা দেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বিসিবির পক্ষে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
প্রথমে তামিম ইকবাল বলেন,‘প্রথমে টস কি কারণে দেরী হচ্ছে তা আমি জানতাম না। আমি ম্যাচ রেফারীকে গিয়ে তা জিজ্ঞেস করি। উনি জানান যে, টেকনিক্যাল কমিটি ওদের (সিলেট) কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে! ওদের নাকি এনওসি (নো অবলিগেশন সার্টিফিকেট) নিয়ে সমস্যা আছে। যেহেতু ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই আমার অপেক্ষা করতে কোনো সমস্যা ছিল না। ১টা ৪০মিনিটে টস হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটা হয়েছে ১টা ৫৫ মিনিটে। তারপর সিদ্ধান্ত হলো যে যাদের এনওসি নাই তাদের নিয়ে খেলা যাবে না। টসের সময় ওদের টিম লিস্ট দেখলাম। সেটাতে শ্রীলঙ্কার মুনাবীরা ও মেন্ডিসের নাম ছিল। মুশফিক একটা কপি নিয়ে আসছিল। সচরাচর তিনটি কপি নিয়ে আসতে হয়। ম্যাচ রেফারীকে জিজ্ঞেস করলাম আমার কপি কোথায়? উনি বললেন যে টস করো, তোমার কাছে টসের পর পাঠিয়ে দিব।’
তিনি আরো বলেন, ‘টস করার পর যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখন দেখলাম ওদের চারজন বিদেশী ক্রিকেটার। ওদের সাথে ইংল্যান্ডের জসুয়া কব ও রবি বোপারা আছেন। জিজ্ঞেস করলাম এটা কি হল? তখন বললো যে ওদের খেলার অনুমতি দিয়েছে। আমি ওখান থেকে এরপর চলে আসি। তারপর ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার ও বোর্ডের সবাই আসলো। আমি সবাইকে বিষয়টি জানাই। প্রশ্ন করি যে, টসের পর কিভাবে প্লেয়ার লিস্ট পরিবর্তন করা যায়? হ্যাঁ যদি আমার অনুমতি কিংবা আমার ফ্রেঞ্চাইজির থেকে অনুমিত নিয়ে নিত তাহলে কিছু হত না। এরপর তো আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে গালি দেওয়া হল। আমি ওই মানসিকতায় ছিলাম না যে আমি খেলতে নামব। কারণ এত কিছুর পর ক্রিকেট খেলা যায় না। এরপর তো খেলা হলো। আমরা জিতলাম। আমি খুব লাকি যে আমি ইনিংসটি খেলতে পেরেছি।’
তামিম ইকবালের পর বিসিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তার পাশেই বসা ছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন। জালাল ইউনস বলেন,‘ম্যাচটি শুরু হতে এক ঘণ্টার মতো বেশি সময় নিয়েছে। আমাদের এমন ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেরি হয়ে গেছে। সিলেটের দুজন খেলোয়াড়ের এনওসি নিয়ে ঝামেলার কারণেই মূলত দেরিটা হয়। তারা হলো জসুয়া কব ও রবি বোপারা। তাদের এনওসি আসছে ১টা ৫৯ মিনিটে। খেলা ছিলো দুইটায়। এর আগে তাদের বলা ছিলো যে, এনওসি না আসলে তোমরা মাঠে খেলোয়াড় নামাতে পারবে না। সেই অনুযায়ী তারা একটি প্লেয়ার তালিকা দিয়েছিলো। এরপরে যখন এনওসি এসেছে তারা তাদের মাঠে নামিয়ে দেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্রিকেটের স্বার্থে, টসের পরে বা প্লেয়ার তালিকা দিয়ে দেয়ার পর; এমনকি খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার পরও প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সম্মতি নিয়ে দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ থাকে। আমরা এটাই তামিমকে বুঝিয়েছি। সে যদি অনুমতি দেয়, তবে সিলেটের বিদেশিরা খেলতে পারে। তখন তামিম কোনোমতেই রাজি হয়নি। ক্রিকেটের স্বার্থে তোমরা রাজি হও- এ কথা আমরা তামিমকে বলেছি। আমরা কিন্তু অবৈধ কিছু করিনি। অধিনায়কের অনুমতি ছাড়া আমরা অনুমোদন দিবো না। আগেই বলেছি। যা হোক, এটা নিয়ে সমস্যা হয়েছে। আমরা পরে সিলেটকে বলেছি, যেহেতু তোমাদের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রাজি হচ্ছে না, তোমাদের দুজন খেলোয়াড় ছাড়াই খেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত তারা রাজি হয়েছে। এর মধ্য বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়ে গেছে। ক্রিকেটের স্বার্থে আমরা চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানেবিস্তারিত পড়ুন
আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেবিস্তারিত পড়ুন
খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিনবিস্তারিত পড়ুন