বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়লেও বদলায়নি পারিবারিক-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি
এখন পর্যন্ত যে প্রতিষ্ঠানটি সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তিমূলে কাজ করছে তা পরিবার। এই জনপদে পরিবারের কেন্দ্রে থাকা নারী-পুরুষের এ সম্পর্ক পারিবারিক, ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে স্বীকৃত হয় বিয়ের মাধ্যমে। কোনো কারণে এই সম্পর্কে ছেদ পড়লে তা পৌঁছায়, আইনত বিবাহ-বিচ্ছেদে। দীর্ঘকাল ধরে এ জনপদের সামাজিক সংস্কার বিবাহ-বিচ্ছেদকে দেখেছে পারিবারিক এবং সামাজিক মারাত্মক গ্লানি হিসেবে। আধুনিক সময় কতটা পরিবর্তন ঘটিয়েছে সেই সংস্কারের?
আঞ্জুমান পারভীন অভী বলেন, ‘পরিবার মেনে নিতে পারেনি। আমি পরিবারের প্রথম মেয়ে যার ডিভোর্স হয়েছে। তারা সাপোর্ট দেয়নি। ডিভোর্স হয়ে যাবার পরে কাজের ক্ষেত্রে, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে স্বাভাবিক আচরণ পাইনি। নানা ধরনের অযাচিত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।’
এখনো বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে অভীর মতো ক্যামেরার সামনে কথা বলার সাহস করেন খুব কম নারী-পুরুষ। তারপরেও অভীর মতে, সময় কিছুটা হলেও এনেছে পরিবর্তন।
আঞ্জুমান পারভীন অভী বলেন, ‘বাসা ভাড়া নিতে গিলেও সমস্যা। বাড়িওয়ালার নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাদের প্রথম প্রশ্ন থাকে আপনার স্বামী কোথায়? আপনার বাবা-মা কোথায় ইত্যাদি। আর আপনার এই অবস্থাকে কিভাবে আপনি নিচ্ছেন। আপনি কিভাবে রেসপন্স করছেন? আপনি নিজে কতটুকু গ্রহণ করতে পেরেছেন? আর অন্যান্য জিনিসগুলো অটোমেটিকেলি হয়ে যায় ধাপে ধাপে।’
‘‘অবশ্যই খুব কষ্ট হয়েছে। কিন্তু পরে তা সম্ভব হয়েছে।’’
এতটা প্রতিকূলতা সমাজে পুরুষের জন্য না থাকলেও, তারাও ভোগেন নানা ধরনের আর্থ-সামাজিক সমস্যায়। আর, মানসিক শূন্যতা তা নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রে তো একই।
মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেছি তার সঙ্গে সংসার করার জন্য কিন্তু সম্ভব হয়নি। তারপর মানসিকভাবে খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম। অফিসে কাজ করবো, কারোর সঙ্গে বসে কথা বলবো তাও পারতাম না।’
এদিকে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, ‘এই ধরনের সম্পর্কে কারণে যাদের সংসার ভেঙ্গেছে তাদের সন্তানদের উপর বেশি প্রভাব পড়ে। দেখা যায় কেউ কেউ মাদকদ্রব্যের গ্রহণ করতে থাকে। আর যদি মেয়ে হয়ে থাকে তাহলে দেখা যায় মেয়েরাও আত্মহত্যার দিকে চলে যায়। সেই সাথে অনেক ছেলেরাও ভেঙ্গে পড়ে এই পথে অনুসরণ করে নেয়।’
তুলনামূলক ভাবে নারীদের তালাক দেবার হার বাড়লেও, দেনমোহর, সন্তানের ভরণপোষণ নিয়ে এখনো দিনের পর দিন আদালতে লড়ে যেতে হয় তাদের।
বিবাহ বিচ্ছেদের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন যেসব নারী ও পুরুষ তাদের সবার আগে প্রয়োজন মানসিক কাউন্সিলের। সাথে সাথে তাদেরকে পরিবার থেকে এবং সামাজিকভাবে এদেরকে গ্রহণের মানসিকতা তৈরি করা প্রয়োজন। তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ মতো সমস্যা একটি সামাজিক সমস্যা না থেকে বরঞ্চ জীবন গঠনের উপায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। নিউজ সময় টিভি
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন