বিমানবাহিনীকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা হচ্ছে
বাংলাদেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও বিমানবাহিনীকে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু সহায়তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার কোনোদিন কার্পণ্য করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যুক্ত করা হয় কমব্যাট প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক-১৩০ এবং হেলিকপ্টার অগাস্টা এডব্লিউ-১৩৯। এগুলো তৈরি করেছে রাশিয়া ও ইতালি।
বক্তব্যের শুরুতে সংগ্রাম ও আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আজকের দিনেই ভারতের পার্লামেন্টে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরাট অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতি চিরদিন তাদের মহান আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করবে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বিমানবাহিনীর মূল দায়িত্ব হচ্ছে আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখা। সেই সঙ্গে আমরা যে দীর্ঘ সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি, এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমাকে সুরক্ষিত রাখা এবং সমুদ্রসীমার ওপর নজরদারি করার ক্ষেত্রেও বিমানবাহিনীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।’
এ সময় বিমানবাহিনীর জন্য নেওয়া তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বাহিনীকে উন্নত করতে বিভিন্ন ধরনের বিমান সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া সামনে বিমানবাহিনীর বহরে আরো পাঁচটি এমআই ১৭১ এসএইচ বিমান এবং ১২টি পিটিএ ৬ প্রশিক্ষণ বিমান যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আজ বহরে যুক্ত হওয়া ডিজিটাল ফ্লাই বাই ওয়্যার সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ইয়াক-১৩০ বিমান আধুনিক বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের আকাশের সুরক্ষা, সেনা ও নৌবাহিনীকে সহায়তা করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া সামুদ্রিক এলাকায় উদ্ধারকাজে সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য উচ্চ প্রযুক্তির গ্লাস ককপিট ও অটো ফ্লাইট কন্ট্রোল পদ্ধতির এডব্লিউ-১৩৯ হেলিকপ্টার সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই হেলিকপ্টারটি দেশের উপকূল ও সামুদ্রিক এলাকায় সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বিমানবাহিনীকে যতটুকু সহায়তা দেওয়া সম্ভব তা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার কোনোদিন কার্পণ্য করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিগত সাড়ে সাত বছরে মানব উন্নয়ন সূচকে আমরা অভাবনীয় অগ্রগতি করেছি। দারিদ্র্যের হার ২২.৪ ভাগে হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে আমরা তা ১৪ ভাগে নামিয়ে আনব। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০০৫-০৬ সালে ছিল ৫৪৩ ডলার। আজকে তা ১৩১৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।’
দেশের মানুষের গড় আয়ু ও প্রবৃদ্ধি বাড়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের রিজার্ভ বেড়েছে, বাজেটের ৯০ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। খাদ্যনিরাপত্তা আমরা সৃষ্টি করেছি, সামাজিক নিরাপত্তা দিচ্ছি। মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা এ দেশের সাধারণ মানুষ, দরিদ্র মানুষ, একেবারে নিম্ন স্তরে পড়ে থাকা মানুষদের সহায়তা করে যাচ্ছি।’ সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মানুষের জন্য নেওয়া সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন