বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিমানে মোবাইল এয়ারপ্লেন মোডে রাখার আসল কারণ

আপনি একটি বিমানের ফ্লাইটে উঠেছেন। সিট বেল্ট লাগিয়ে আরাম করে বসেছেন এবং বিমানটি উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত ঠিক তখনই যে ঘোষণাটি শুনতে পাবেন তা হচ্ছে, ‘মোবাইল ফোনসহ আপনার ইলেকট্রনিক পোর্টেবল ডিভাইস এয়ারপ্লেন মোডে সেট করুন।’

সে সময়ে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনার মোবাইল হয় বন্ধ রয়েছে নয়তো ফ্লাইট মোডে রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে আবারো একই নিরাপত্তামূলক ঘোষণার মাধ্যমে, তা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। এরপরও যদি আপনি না শুনে থাকেন তাহলে বিমানমালা নিশ্চিতভাবে আপনাকে তা করতে বাধ্য করবে।

কারণ যদি না করেন, তাহলে তা বিমানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমের জন্য ক্ষতির কারণ হবে এবং বিমান দূর্ঘটনায় পতিত হবে। এমনটাই তো আপনার মনে হচ্ছে, তাই তো?

আসলে তা নয়। এমন কিছু ঘটতে যাচ্ছে না। বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করে যে, এটা একটা সাধারণ নিয়মমাত্র এবং এই নিয়ম পালন না করলে তেমন কিছু হবে না। আবার কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে, এমনটা না করলে বিমান ক্র্যাশ করবে এবং সবাই মারা যাবে। সত্য হলো, উভয় ধারণাই ভুল।

এখন পর্যন্ত এমন কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা প্রমাণ করতে পারে যে, যদি মোবাইল এয়ারপ্লেন মোডে না রাখা হয়, তাহলে মোবাইল থেকে নির্গত সিগন্যাল বিমানে গোলযোগ সৃষ্টি করে দূর্ঘটনার কারণ হয়েছে।

সুতরাং তাহলে কেন বিমানের ফ্লাইটে থাকা অবস্থায় মোবাইল এয়ারপ্লেন মোডে রাখতে বলা হয়? কারণ মোবাইলের সিগন্যাল ভূমিতে নেটওয়ার্কে জ্যাম সৃষ্টি করতে পারে। দ্রুত ভ্রমণের সময় এবং তা ১০ হাজার ফুটের বেশি হলে ফোনের সিগন্যাল বিভিন্ন টাওয়ারে যোগাযোগের চেষ্টা করে এবং শক্তিশালী সিগন্যাল প্রেরণ করে কারণ টাওয়ার থেকে দূর্বল সিগন্যাল পায়।

মূলত, আপনার মোবাইল সবসময় নেটওয়ার্কে থাকতে বিভিন্ন মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে চায়, এমনকি টাওয়ার দূরবর্তী স্থানে থাকলেও মোবাইল সিগন্যাল বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করে যাতে টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুন্ন থাকে। যা ভূমিতে থাকা সিগন্যালে প্রভাব বিস্তার করার সম্ভাবনা থাকে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যে কারণে আপনি মোবাইল এয়ারপ্লেন মোডে রাখবেন, তা হচ্ছে বিমানচালককে বিরক্ত করতে চান না। কোনো অডিও সিস্টেম থেকে অপ্রীতিকর শব্দ হয়তো আপনি শুনেছেন যখন সেই অডিও সিস্টেমের পাশে মোবাইল ছিল। যেমন টেলিভিশনের পাশে মোবাইল থাকলে দেখা যায়, ফোন আসলে টেলিভিশনের অডিও সিস্টেম থেকে বাজে একটা শব্দ শোনা যায়। কারণ ফোনের রেডিয়েশন অনেক সময় শক্তিশালী হতে পারে এবং তা ৮ ওয়াট পর্যন্ত। সুতরাং এবার একটু কল্পনা করুন তো, বিমানবন্দর থেকে একটি জরুরি বার্তার সময় মোবাইলের রেডিয়েশনের কারণে বিমানচালকের হেডসেটে সেই বাজে শব্দ সৃষ্টির বিষয়টি। এই বাজে শব্দ নিয়ে আরো কল্পনা করুন যে, সেই শব্দ যদি ১০০ যাত্রীর মোবাইল থেকে সৃষ্টি হতে থাকে। আপনি ভাবতে পারেন, তাহলে তা বিমানচালকের হেডসেটে কতটা বিরক্তিকর হতে পারে। তাই আপনার উচিত ফোন এয়ারপ্লেন মোডে রেখে, বিমানচালকদেরকে তাদের কাজটা শান্তিতে করতে দেওয়ার।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন

মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু

মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন

স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ

নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন

  • অবশেষে বাংলাদেশে ১৯ অক্টোবর থেকে পে-প্যাল সেবা
  • রবি গ্রাহকদের জন্য সুখবর ! ছাড় পাবেন উবারে !
  • মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণের দাবি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে
  • লক খুলবে মুখ দেখেই আইফোন ৮
  • ফেসবুক এবং গুগলের যুগে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম পরিকল্পনা করলে ভুল-ই হবে
  • এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপেও টাকা লেনদেন! জেনে নিন কীভাবে
  • ফেসবুক হ্যাক হয় যেভাবে
  • ধর্ষণ থেকে আত্মহত্যা! সবই পাওয়া যাচ্ছে গেমে
  • এলিয়েন তাড়ালেই নাসাতে মিলবে কোটি টাকার চাকরি
  • রাত্রে বিছানায় মোবাইল নিয়ে ঘুমনো অভ্যেস? জানেন না, কতবড় ভুল করছেন
  • দিনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন ১০০ কোটি মানুষ
  • ফেসবুকে দামি গাড়ি, গয়নার ছবি পোস্ট করেছেন? সর্বনাশ!