শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিরাটের থেকে নেতৃত্বের পাঠ এবার নেওয়া উচিত গম্ভীরের

সেভাবে দেখলে আটটা দলের মধ্যে কেকেআর দলেই অলরাউন্ডারের সংখ্যা বেশি। আন্দ্রে রাসেল, শাকিব-আল-হাসান, জেসন হোল্ডারের মতো ক্রিকেটার রয়েছে। তার মধ্যে এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে শাকিবের দক্ষতা তো রীতিমতো প্রমাণিত।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেশ কয়েকজনের ফোন পেলাম। কমবেশি প্রত্যেকের কথার সুর একই ধরনের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের এমন বিদায় কেউ মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না!

সত্যি বলতে, বুধবার টেলিভিশনে ফিরোজ শা কোটলায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গৌতম গম্ভীরদের হার আমাকে কিন্তু মোটেও অবাক করেনি। বরং কেকেআর-এর হার নিয়ে ব্যক্তিগত স্তরে বিশ্লেষণ করতে বসে মনে হল, এটাই তো প্রত্যাশিত ছিল। এগারোজন মিলে মাঠে নেমে পড়ার অর্থ কিন্তু ভাল দলের উদাহরণ হতে পারে না। তাহলে তো শক্তিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকা গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অথবা মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, কেভিন পিটারসেন, স্টিভ স্মিথদের দিয়ে তৈরি (যদিও চোটের কারণে পরে দুই বিদেশি তারকা আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছিল) রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস অন্তত প্লে-অফে উঠতে পারত। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে সাফল্য পেতে হলে যেমন চাই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, তারই সঙ্গে সঠিক দল নির্বাচন করে ইতিবাচক মন নিয়ে মাঠে লড়াই করতে নামা। এই মুহূর্তে যার ঝলমলে উদাহরণ বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। অনেকটা সময় পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে দাঁড়িয়ে থাকা যে দলটাকে নিয়ে কেউ প্লে-অফ খেলার ন্যুনতম সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতেও সাহস করেননি, তারাই আগামী রবিবার আইপিএল ফাইনালে খেলবে!

নবম আইপিএলের শুরু থেকে নাইটদের খেলা দেখে যে কথাটা আমার বারবার মনে হয়েছে, সেটা হল চারজন ব্যাটসম্যানের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা টিম। গৌতম গম্ভীর, রবিন উথাপ্পা, ইউসুফ পাঠান এবং আন্দ্রে রাসেল। পরে চিকেন পক্স সারিয়ে ফেরা মণীশ পাণ্ডে কয়েকটা ম্যাচে ভাল খেলেছে। কিন্তু সমস্যা হল, যেদিন এই চারজনের কেউই সফল হবে না, সেদিন কী হবে? বুধবার ঠিক সেই ঘটনাই ঘটল। শিখর ধাওয়ানদের মাত্র ১৬২ রানও তাড়া করে জিততে পারল না কেকেআর! তবে সেখানেই শেষ নয়। আমি বলব, এলিমিনেটর পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেরা দল বাছাই করবে না কেন গম্ভীর? সচরাচর ক্রিকেটে যেটা দেখা যায় তা হল, প্রথম একাদশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আলোচনা করেন কোচ। তবে কি ধরে নিতে হবে যে, জাক কালিসের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজনবোধ করেনি গম্ভীর। যে দলে কালিস এবং ওয়াসিম আক্রমের মতো দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার রয়েছে, সেখানে প্রথম এগারো বাছতে গিয়ে এত ভুল হয় কী করে? না কি অন্য কোনও ঘটনাও রয়েছে? যাই হোক না কেন, তার খেসারত দিতে হয়েছে ম্যাচে।

সেভাবে দেখলে আটটা দলের মধ্যে কেকেআর দলেই অলরাউন্ডারের সংখ্যা বেশি। আন্দ্রে রাসেল, শাকিব-আল-হাসান, জেসন হোল্ডারের মতো ক্রিকেটার রয়েছে। তার মধ্যে এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে শাকিবের দক্ষতা তো রীতিমতো প্রমাণিত। অথচ ওকেই কি না এই ম্যাচে রাখাই হল না! তার বদলে এল রাজাগোপাল সতীশ? গম্ভীরের কি মনে হয়েছিল যে, শাকিবের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী হবে সতীশ? শাকিবকে যদি না-ও রাখা হয়, তবে সতীশের পরিবর্তে পীযুষ চাওলা কেন খেলবে না? বল ছাড়াও চাওলার ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংও যথেষ্ট ভাল। বড় ম্যাচ খেলার অভি়জ্ঞতা রয়েছে। মনে রাখা দরকার, দু’বছর আগে চাওলাই কিন্তু উইনিং শট নিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। সঠিক টিম-কম্বিনেশনই যেখানে ছিল না, সেখানে ম্যাচ বেরোবে কী করে! তাছাড়া যুবরাজ নেমেই যখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করল, গম্ভীরকে দেখলাম অনিয়মিত বোলারদের নিয়ে এল! এটা কী সিদ্ধান্ত? যুবরাজের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচের আবহ পাল্টে দিল! তাও তো এই যুবরাজ আগের যুবরাজের ছায়ামাত্র। পুরনো ফর্মে থাকলে অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত ম্যাচ।

তবে এই সুযোগে একটা সত্যি কথা বলে রাখা ভাল। জাতীয় দলের নির্বাচক হিসাবে গম্ভীরকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেছি। মাঠে বা মাঠের বাইরে বরাবর নিজেকে গুটিয়ে রাখতে বেশি পছন্দ করে। আমরা কেউই ওর মধ্যে ‘ক্যাপ্টেনস মেটিরিয়াল’ খুঁজে পাইনি। সামনে থেকে দাঁড়িয়ে দলকে চাঙ্গা করার ক্ষমতা গম্ভীরের কোনওদিন ছিল না। এখনও নেই। ঠিক যে জায়গায় বিরাট কোহলি এই মুহূর্তে শুধু ভারতীয় ক্রিকেটেই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজস্বতা তৈরি করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ শিবিরে। ক্যাপ্টেন হাতে আটটা সেলাই নিয়ে সেঞ্চুরি করে দলকে জেতাচ্ছে, এই ছবি বিশ্বের যে কোনও দলকে তাতিয়ে দিতে বাধ্য। বা শেষ ম্যাচে এ বি ডিভিলিয়ার্স ব্যাটে ঝড় তুলছে, আর লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে বিরাট লাফিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছে। এই আগ্রাসী শরীরীভাষাই তো দরকার। না হলে ভেবে দেখুন, আরসিবি টিমটাও তো দাঁড়িয়ে তিন তারকা বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল এবং এ বি ডিভিলিয়ার্সের ওপর দাঁড়িয়ে। বোলিংয়ে কিছুটা শেন ওয়াটসন, ক্রিস জর্ডান রয়েছে। যজুবেন্দ্র চাহাল ধারাবাহিকভাবে বল করে চলেছে। আরসিবি-র বোলিং শক্তি মোটেও আহামরি নয়। কিন্তু মাঠে বিরাটের আগ্রাসী এবং ইতিবাচক মনোভাব ঢেকে দিয়েছে সমস্ত দুর্বলতাকে। এটাই তো দরকার।
জানি না, আগামী মরসুমে গম্ভীরের হাতেই দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না। তবে যাই হোক, কোহলির ইতিবাচক এবং আগ্রাসী মনোভাব থেকে শিক্ষা নিয়ে গম্ভীর নিজেকে পাল্টানোর চেষ্টা করলে উপকার হবে দলেরই!

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস

টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন

প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন

নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন

  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
  • বন্যার্তদের সহায়তায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন
  • নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে: মির্জা ফখরুল
  • আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক বিচারপতি মানিককে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
  • রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট: ৯৪ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করল বাংলাদেশ
  • পুলিশের লুট হওয়া ১২৩৪টি অস্ত্র উদ্ধার
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় পৌঁছলেন খালেদা জিয়া
  • বিএনপির শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের বাবুলের পদ স্থগিত
  • ইসির নিবন্ধন পেল এবি পার্টি, প্রতীক ঈগল
  • থানায় জিডি-মামলা নিতে দেরি করা যাবে না: পরিপত্র জারি