বিলিয়ার্ডের নেশা থেকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় তাসকিন
ক্রিকেটের পর তাসকিনের দ্বিতীয় প্রেম বিলিয়ার্ড খেলা। প্রাকটিসের পর বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিলিয়ার্ড নিয়ে মেতে থাকেন। এই নেশা থেকেই প্রথম রেস্টুরেন্ট ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসে। মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের বিপরীত দিকে তাসকিনের রেস্টুরেন্ট দেখতে যেয়ে তার দুলাভাই তানভীর খান উজ্জ্বলের কাছ থেকে এসব কথা শুনেছেন অমৃত মলঙ্গী।
-‘তাসকিন টেরিটোরি’ নামের বিলবোর্ড এখনো নুরানি টাওয়ারে ওঠেনি। তাসকিন ফেসবুকে রেস্টুরেন্টের যে ঠিকানা দিয়েছেন, সেখানে লেখা নেই টাওয়ারটির কয়তলায় তার রেস্টুরেন্ট। শিয়া মসজিদের সামনে যেয়ে এদিক-ওদিক খোঁজ করেও তাই রেস্টুরেন্টটি চোখে পড়লো না। বিপরীত দিকে পুলিশ বক্সের কাছে কয়েকজন মুচির কাছে জিজ্ঞেস করতেই বলে দিলেন-ছয়তলায়।
নিচে চেয়ার পেতে বসে আছেন টাওয়ারের মালিক। সকাল থেকে বেশ কয়েকজনকে খালিহাতে বিদায় করেছেন। তাসকিন ঘোষণা দিয়েছিলেন শুক্রবার থেকে খাবার সরবরাহ করা হবে। কিন্তু সাজসজ্জার কাজ বাকি থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। লিফটে উঠে ছয়ে নামতেই রেস্টুরেন্টের দরজা। সামনে তাকাতে চোখে পড়ল তাসকিনের বিশাল একটা ছবি। তাতে লাল-সবুজ আলো লাগিয়ে রঙিন করা হয়েছে। বাঁদিকে কয়েকজন যুবক কাজ করছেন। ডানদিকের একটা ঘর থেকে ভেসে আসছে হিন্দিগান-চিকনি চামেলি। সামনে বিশাল খোলা জায়গা। আব্দুল্লাহ নামের এক কর্মচারী জানালেন এখানে বিলিয়ার্ড বোর্ড বসানো হবে।
-আজকে তো রেস্টুরেন্ট চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সব তো অপ্রস্তুত! আব্দুল্লাহ’র কাছে এই কথা তুলতেই বললেন, ‘ভাই কাজ শেষ করে পারিনি। আশা করছি পরশু দিন থেকে হবে।’
-কার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে?
-ভিআইপি ঘরের দিকে আসেন।
আব্দুল্লাহ আরেকটা রুমে নিয়ে যান। চারদিকে কালো রঙের সোফা। একটায় পা তুলে শুয়ে আছেন তানভীর খান উজ্জ্বল। আওয়াজ শুনেই উঠে বসলেন। সাংবাদিক পরিচয় শুনে বসতে বললেন।
-‘তাসকিন হঠাৎ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নামলেন কেন। সেই গল্প শুনতে চাই।’
উজ্জ্বল নিজের পরিচয় দিয়ে কথা শুরু করেন, ‘ও আসলে বিলিয়ার্ডের ভীষণ ভক্ত। খেলা বা প্রাকটিস না থাকলে অধিকাংশ সময় বিলিয়ার্ড খেলে। একদিন আমাকে বললো, ভাইয়া একটা রেস্টুরেন্ট দিলে কেমন হয়। সেখানে বিলিয়ার্ড বোর্ড থাকবে। তাহলে আমার আর বাইরে খেলতে যেতে হবে না।’
উজ্জ্বলের কাছ থেকে জানা গেল তাসকিন শুধু একাই নন। মোট তিনজন রেস্টুরেন্টটির পার্টনার। উজ্জ্বল নিজেও পার্টনারদের মধ্যে একজন। আরেকজন তাসকিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভি।
রেস্টুরেন্টের মোট বাজেট কত? প্রশ্ন করতেই উজ্জ্বল কিছুটা চুপ করে যান। হয়তো সবটা তিনি জানেন না। বললেন, ‘অভি আসুক। ওর কাছ থেকে বাকিটা শুনবেন।’
অভি শেষ পর্যন্ত আর আসলেন না। ফোন করে বললেন, কোনো একটা কাজে ধানমণ্ডি চলে গেছেন। উজ্জ্বল এবার দুঃখ প্রকাশ করেন, ‘সরি ভাই। ও আসতে পারছে না। আরেকদিন বিস্তারিত কথা হবে।’
ততক্ষণে ‘চিকনি চামেলি’ শিরোনামের সেই হিন্দি গান বন্ধ। কেউ একজন হাঁক দিয়ে বললেন, তাসকিনের ছবির লাইটিং জ্বালিয়ে দে। আর ওই গানটা বাজা। কয়েক সেকেন্ড পরে তাসকিনের ছবির ওপর লাল-সবুজের লাইট জ্বলে ওঠে। আর বাতাসে ভেসে আসে, ‘বেশ, বেশ, বেশ…সাবাস বাংলাদেশ…।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন