বিল গেটসের খোলা চিঠি
ক্যালিফোর্নিয়া, ০১ মার্চ- যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের এক হাইস্কুলে শিক্ষার্থীরা বিল এবং মেলিন্ডা গেটস দম্পতির কাছে জানতে চেয়েছিল, তাঁদের কাছে যদি একটি অতি মানবীয় শক্তি থাকত, তবে সেটি কী হতো? ফেসবুেক নিজের পেজে এক চিঠিতে সেই উত্তর দিয়েছেন বিল গেটস।
আমাদের যদি কোনো অতি মানবীয় শক্তি বা সুপারপাওয়ার থাকত, তবে তা কী হতো? কেনটাকির উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মেলিন্ডা এবং আমাকে এই প্রশ্নটি করেছিল। আমাদের উত্তরটা হয়তো সুপারহিরো ভক্তদের মন পুরোপুরি জয় নাও করতে পারে। আমরা শুধু চেয়েছিলাম আমাদের ব্যস্ত জীবনের সবকিছু গুছিয়ে করার জন্য আরও শক্তি এবং সময়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী শত কোটি পরিবারের কাছে শক্তি এবং সময়ের চ্যালেঞ্জটা আমাদের চেয়ে আলাদা। এ থেকে তারা নিজেদের সামর্থ্য সম্পর্কেও ভালো ধারণা পায়। এ কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় রেখেছি।
কল্পনা করুন, শক্তিশূন্য একটি জীবন। একটি বৈদ্যুতিক বাতি, মোবাইল ফোন, কিংবা ফ্রিজ চালানোর শক্তিটুকুও নেই। বিশ্বের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ এমন এক অবস্থায় আছে, যা কল্পনাতীত। এটাই বিশ্বের ১৮ শতাংশ জনসংখ্যার দৈনন্দিন জীবন।
এক কথায় বলতে গেলে বলা যায়, ‘সবার জন্য সব সময় জীবন ভালো কাটে না। বেশির ভাগের জন্য অধিকাংশ সময়ই এমন।’ এর পেছনে দায়ী মূলত শক্তি। শত-সহস্র বছর ধরে মানুষ কাঠ-কয়লা পুড়িয়ে শক্তি পেয়েছে। তবে আঠারো শতক থেকে কয়লার ব্যবহার জীবনকে দ্রুততার সঙ্গে সহজ করেছে। এখনো অনেক দরিদ্র মানুষ শক্তি ব্যবহারের অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। কাজেই আমরা যদি বিশ্বের বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু করতে চাই, তাহলে আমাদের শক্তির এমন উৎস খুঁজে বের করতে হবে, যা তারা সহজেই পেতে পারে। এমনভাবে এই কাজটা করতে হবে, যেন জলবায়ুর পরিবর্তনকে আরও গুরুতর করে না তোলে। কারণ, তাহলে তারা আরও বিপদে পড়ে যাবে।
আরও কম দামি শক্তি উৎপন্ন করতে হলে আমাদের সৌর ও বায়ুশক্তির মতো সহজলভ্য মাধ্যমে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নতুন নতুন ধারণা নিয়ে ভাবতে হবে। কিছু বিক্ষিপ্ত ধারণাও আসবে, কিন্তু আমি বাজি ধরে বলতে পারি, আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা এই বিষয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দেবেন। কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি আনা সম্ভব হবে এবং শক্তিকে সবার জন্য আরও সহজপ্রাপ্য করা সম্ভব হবে। প্রায় ১০০ কোটি মানুষের দিনের অনেকটা সময়ই চলে যায় নিত্যদিনের প্রয়োজনে কাঠ এবং পানি সংগ্রহ করতে। এই সময় নষ্ট করার কাজগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই করে থাকে। এই অমানসিক পরিশ্রম এবং বোঝা বাড়ানো ঠিক নয়। উন্নয়নের পথেও এটা অনেক বড় বাধা।
শক্তি এবং সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। বিশ্বকে আরও উন্নত করতে হলে কী কী করা উচিত? জানান আপনার মতামত। সঙ্গে থাকুন আমাদের। (সংক্ষেপিত)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন