বিশেষ যত্নে বড় করুন প্রতিবন্ধী শিশুকে
প্রতিটি বাবা-মা তাদের সন্তানদের অনেক ভালোবাসেন। অতি সাবধানে তারা এই গুরু দায়িত্বটি পালন করেন। তবে সন্তান যদি হয় প্রতিবন্ধী তাহলে তাদের দায়িত্বটা আরো বেড়ে যায়, তার সঙ্গে বাড়ে চিন্তাও। কারণ প্রতিবন্ধী সন্তানদের বড় করে তোলা মোটেই সহজ কাজ নয়।
বয়স, লিঙ্গ, জাতি, সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী আর দশজন যে কাজগুলো করতে পারে প্রতিবন্ধী শিশু স্বাভাবিকভাবে সে কাজগুলো করতে না পারার অবস্থাটাই হল প্রতিবন্ধীতা (disability)।
প্রতিবন্ধী হল দেহের কোনো অংশ বা তন্ত্র যদি আংশিক বা সম্পূণভাবে, ক্ষণস্থায়ী বা চিরস্থায়ীভাবে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায় সে অবস্থাটিকেই বোঝায়৷
প্রতিবন্ধকতা এক ধরনের নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, যাতে আক্রান্ত বাচ্চা ঠিক মতো কথা বলতে বা সাধারণ শিশুদের মতো বেড়ে উঠতে পারে না। তবে জন্ম থেকেই শিশুর এমন অ্যাবনরমালিটি দেখা দেবে, এমন নয়। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ৩ বছরের পর থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করে নানা অসুবিধা। যেমন, সন্তান ঠিক মতো কথা বলতে পারে না, অনেক সময় চলাফেরা করতেও অসুবিধা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জন্মগত, আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে, মা অপুষ্টি এবং পুষ্টিহীনতায় ভুগলে, গর্ভকালীন সমস্যা, মায়ের ডায়বেটিস, মানসিক ও শারীরিক রোগ থাকলে, নিম্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাও কোনো কোনো সময় প্রতিবন্ধিতার কারণ হতে পারে।
প্রতিবন্ধী শিশুরা দৈনন্দিন কাজকর্মও ঠিক মতো করতে পারে না। কারণ ছোট বেলা থেকে কোনও কিছু শেখার ক্ষমতাই তাদের থাকে না। তাই তো বাবা-মায়েদের এমন কিছু গুণ থাকতে হয়, যাতে শিশুরা বিনা অসুবিধায় বড় হয়ে উঠতে পারে।
তাই তো বাবা-মাকে প্রতিবন্ধী শিশুদের বড় করতে হয় বিশেষ যত্ন নিয়ে। এ বিষয়ে বোল্ডস্কাইয়ের গবেষকরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
* প্রথম থেকেই মেনে নিন যে আপনার সন্তান স্বাভাবিক নয়। এমনটা করলে দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই কমে আসবে।
* আপনার সন্তান অনেক ধরনের আবদার করবে। সব হয়তো মেনে নেয়া আপনার পক্ষে সম্ভবও হবে না, কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন। ভুলে যাবেন না সে অনেক কিছুই না বুঝে করছে। সেই সঙ্গে আপনার শিশুটির আর কী কী অসুবিধা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করবেন।
* প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখা-পড়ার জন্য বিশেষ স্কুল আছে। সেখানে ভর্তি করে দিন। স্কুলে সে যাতে ঠিক মতো কেয়ার পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
* প্রতিবন্ধী শিশুদের আশপাশে বা রাস্তায় অনেকে উত্যক্ত করে। এদিকে বাবা-মাকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। কারণ প্রতিবন্ধী শিশুরা তাদের রাগ বা দুঃখ প্রকাশ করতে পারে না।
* শিশুকে নিদিষ্ট সময়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। ঠিক মতো চিকিৎসা পেলে দেখবেন তার রোগের লক্ষণ অনেক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
* আপনার সন্তানকে কখনই মনে হতে দেবেন না যে সে আর পাঁচজনের মতো নয়। প্রতিদিন তাকে সময় দিন। তার কথা শুনুন। খেলাধুলো করতে দিন। এমনটা করলে দেখবেন হাজারো অসুবিধা থাকলেও সে বেঁচে থাকার আশা খুঁজে পাবে।
* যাদের প্রতিবন্ধী শিশুর রয়েছে তারা অরেকটি শিশু নেয়ার আগে ভালো করে চিন্তা করবেন। কারণ প্রতিবন্ধী শিশুর যত্ন নিতে অনেকটা সময় চলে যায়। তাই আরেকজন শিশুকে বড় করে তোলার মতো সময় আপনার হাতে আছে কিনা, তা দেখে নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিষ্ঠানিকবিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে
স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন