বিশ্বনাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলা
সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা শুরু হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পরিষদের সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল চৌধুরী এলাকার উন্নয়ন বণ্টন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় আপত্তি জানান ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিন।
এ সময় আচমকা কয়েকজন যুবক উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত ওই সভায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুহেল চৌধুরীর ওপর হামলা চালায়। হামলায় সুহেল চৌধুরী ও বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউপি চেয়ারম্যান লিলু মিয়াসহ ৫ জন আহত হন।
ওই হামলার ঘটনায় বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্বনাথ নতুন বাজারস্থ গোলচত্বরে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জানাইয়া গ্রামের আহমেদ নুর উদ্দিনকে নিয়ে কটুক্তি করা হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জানাইয়া গ্রামবাসী।
প্রতিবাদ সভা শেষে ফের মিছিলটি বিশ্বনাথ পুরান বাজারের দিকে যাওয়ার সময় জানাইয়া গ্রামবাসী ধাওয়া করেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল চৌধুরীর সমর্থক ও তার নিজ গ্রাম কারিকোনার লোকজন জানাইয়া গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়ে সরে যায় থানা পুলিশ। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ইট-পাটকেলের আঘাতে পথচারীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। পরে শর্টগানের ১১ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন জয়নাল মিয়া, শাহিন, ওয়াসিম, জুনাব আলী, রুমেল, সাজন, জিতু, লিটন, সমর, খালিক প্রমুখ।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘পরিষদের সভা চলাকালীন সময়ে ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সভায় হামলা চালিয়েছে।’
ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলার কোনো প্রকল্প আমাদের (ভাইস চেয়ারম্যানদের) দেওয়া হয়নি। সব প্রকল্প উপজেলা চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার পরিষদের সভায় আমরা এ নিয়ে প্রতিবাদ জানাই। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের অনুসারীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। তবে চেয়ারম্যানের ওপর কে বা কারা হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যানের অনুসারীরা জানাইয়া গ্রামবাসীকে কটুক্তি করায় আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।’
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল হোসেন বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ১১ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, সমন্বয় সভায় এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সিলেটে মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর বাসভবনে হামলা ও ডাকাতি
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আওয়ামী লীগ নেতা মোহসিন আহমেদ চৌধুরীর সিলেট শহরেরবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন